স্বাধীন দেশের সংবিধানের ১৭ ধারায় নিষিদ্ধ ছিল অস্পৃশ্যতা। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে অস্পৃশ্যতা আইন বলবৎ হয়। কিন্তু তারপরেও দলিত-সহ নাগরিকদের অবমাননা, নিগ্রহ চলতেই থাকে। স্বাধীনতার ৭২ বছর পরেও এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল তামিলনাড়ুর পেরিয়াউর গ্রাম।
দিনকতক আগে ভেলোরের একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। শ্মশানে দাহ করার অনুমতি না পেয়ে ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে এক দলিতের মৃতদেহ ভাসিয়ে দিয়েছিল তাঁর পরিবার। এমনই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল তামিলনাড়ুর শাব্বালপুরমের এই গ্রামে।
ওই গ্রামের উচ্চবর্ণের একটি শ্মশানে দাহ করতে গিয়ে অনুমতি পায়নি একটি দলিত পরিবার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁরা প্রবল বৃষ্টিতে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। সমস্ত রকম আধুনিক ব্যবস্থাপূর্ণ এই শ্মশানটি কেবলমাত্র উচ্চবর্ণের সম্প্রদায়ের জন্য। আর দলিতদের দাহ করার জন্য খানিকটা খোলা জমি। প্রবল বৃষ্টির কারণে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করার অনুমতি চেয়েছিলেন ওই পরিবার।
কিন্তু হাজার অনুনয়ের পরেও সেই অনুমতি মেলেনি। বৃষ্টি থামলে বাধ্য হয়ে মৃতদেহের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। পরে অবশ্য এই নিয়ে এলাকার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিজ্ঞানের উন্নতির পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মানসিকতা এখনও যে উন্নত হয়নি, তা এই ঘটনাগুলি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।