কথা ছিল, সরকারি কর্মচারী এবং পেনশন প্রাপকদের ডিএ বাড়বে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে ডিএ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রভাব ফেলল এই সিদ্ধান্তে। এই বছরের মতো স্থগিত করা হল ডিএ-র বৃদ্ধি। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশিকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কঠিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এই মুহূর্তে ডিএ বাড়ানো সম্ভব নয়। পুরনো হারেই অর্থাৎ ১৭ শতাংশই ডিএ পাবেন সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্তরা। জানুয়ারি মাস থেকে জুন পর্যন্ত এই সময়ের অতিরিক্ত ডিআর মিটিয়ে দেওয়ার কথাও বাতিল হল এদিন। পয়লা জুলাই, নতুন করে পর্যালোচনা করা হবে এই বিষয়ে। এমনটাই জানানো হয় ওই নির্দেশিকাতে।
তবে জানানো হয়, পর্যালোচিত নতুন ডিএ-র হার লাগু হবে ২০২১-র জানুয়ারিতে। মেটানো হবে ২০২১-এর জুলাইয়ের পয়লা তারিখে। কিন্তু কোনোভাবেই ২০২০-র জানুয়ারি থেকে জুনের ডিএ এবং ডিআর এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়, জানায় সরকার।
বর্তমানে ৫৪ লক্ষ সরকারি কর্মী এবং ৬৫ লক্ষ পেনসিয়নভোগী রয়েছেন সরকারি তালিকায়। ডিএ-র হার বৃদ্ধি পেলে বেতনের খরচ বাড়ত ১৪৫০০ কোটি টাকা। এখন জরুরি অবস্থায় খরচ কমানোই লক্ষ্য সরকারের।
সংসদের সদস্যদেরও বেতন কাটা হবে, তা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতিরও বেতন কমানো হয়েছে এই সংক্রমণের জন্য। এবার তার রেশ ধরেই প্রভাব পড়ল সরকারি কর্মচারীদের ওপর।