করোনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রকে তছনছ করে দিল নিসর্গ। বাণিজ্য নগরী মুম্বাই থেকে পূর্বদিকে সরে গিয়ে এখন তার অবস্থান নাসিকের ওপর। পুনে, জুন্নার, আহমেদনগরে এখনও হাওয়ার দাপট রয়েছে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। তবে অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে নিসর্গ। আগামী ৩ ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি শক্তিক্ষয় করে শান্ত হবে সে। জানাচ্ছে মৌসম ভবন।
মুম্বাই, রোহা, রেভদন্দ, শ্রীবর্ধন প্রভৃতি অঞ্চলে ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ। গাছ পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে মুম্বাই থেকে পুনে সংযোগকারী এক্সপ্রেস ওয়েতে। সান্টাক্রুজ এলাকায় ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মান বাড়ির চাঙড়। আহত হয়েছেন ৩ জন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সিন্ধুদার্গ জেলাতে। বাড়ির ছাদ উড়ে যাওয়ায় ঘরছাড়া হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া তুমুল বৃষ্টিতে ভেসেছে বান্দ্রা। ফলে জলময় বান্দ্রা-কুরলা কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
রায়গড় জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক। সেখানে ট্রান্সফমার ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান এক ব্যক্তি। গাছ পড়ে আহত আরো চারজন। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের।
নিসর্গের ধ্বংসলীলা চলেছে গুজরাটেও। তবে সেখানে তীব্রতা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম ছিল। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ, হোর্ডিং এবং ল্যাম্পপোস্ট উপড়েছে বেশ কিছু জায়গায়। উপকূলবর্তী অঞ্চলে বেড়েছে জলস্তরও। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। সন্ধের পর চালু হয়েছে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরও। তবে পরিচিত ছন্দে ফিরতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে।
Powered by Froala Editor