শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোন আমফান ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। এই মুহূর্তে দিঘা থেকে প্রায় ৬০০ কিমি দূরে অবস্থান করছে এটি। আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, কাল অর্থাৎ বুধবার বিকেলের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে আমফান। আপাতত সেই মুহূর্ত আসার আগেই সমস্ত রকম ব্যবস্থা সেরে রাখছে প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরে এখনও অবধি যতগুলো ঝড় বা সাইক্লোন হয়েছে, আমফান তাদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিশালী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঝড়ের তীব্রতা ঘণ্টায় ২৭০ কিমিও ছাড়িয়েছ। ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সুপার সাইক্লোন যত এগিয়ে আসছে, আতঙ্ক ততই বাড়ছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে।
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের গ্রাম থেকে মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে দিঘা, মন্দারমণি-সহ অন্যান্য উপকূলবর্তী জায়গায় না যায়, সেই দিকটা দেখা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কলকাতাতেও ভালো প্রভাব পড়বে এর। এখানে ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমিও ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে স্থলভাগের কাছে আসার পর শক্তি হ্রাস পেতে থাকবে আমফানের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায়।