অসহায় অবস্থায় কিছু কাকের বাচ্চাকে উদ্ধার করেন তিনি। তারপর থেকে তাদের খাবার-জলের ব্যবস্থাও করেন তিনি। কিছু বছর পর, সেই কাকেরাই এসে তাঁকে উপহার দিয়ে গেল! যে সে উপহার নয়, একেবারে শৈল্পিক জিনিস! এমনই ঘটনা ঘটল আমেরিকার এক বার্ড ওয়াচারের সঙ্গে।
পাঁচ বছর আগের ঘটনা। সিটলের স্টুয়ার্ট দাহলকুইস্ট তাঁদের বাড়ির বাইরেই দেখতে পান একটি দৃশ্য। কিছু কাকের ছানা বাসা থেকে মাটিতে পড়ে গেছে। ছোট থেকেই পাখির প্রতি আগ্রহ স্টুয়ার্টের। ওই বাচ্চাগুলোকে তাদের বাসায় ফেরানোই শুধু নয়, তাদের খাওয়া দাওয়ার যাতে অসুবিধা না হয়, সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতেন তিনি। গাছের নীচে জল ও খাবার রেখে দিয়ে আসতেন। এমনকি, নিজের ঘর থেকেও মাঝে মাঝে টুকটাক কিছু ছুঁড়ে দিতেন তিনি। সেগুলো কাকেরা এসে খেয়েও যেত। চিনেও গিয়েছিল তাঁকে।
সম্প্রতি তিনি দেখতে পেলেন এক অদ্ভুত জিনিস। ঠিক যেখানে তিনি ওই কাকেদের খাওয়াতেন, সেখানেই দুটি নতুন ফার গাছ উঠেছে। আরও আশ্চর্যের, সেটিকে ‘সাজানোও’ হয়েছে একটা করে সোডা ক্যান দিয়ে। এমনি সময় হলে এসব ফেলে দিতেন স্টুয়ার্ট। কিন্তু এবার সেটা করলেন না। জঞ্জাল বলে এটাকে মনেই হচ্ছে না! দিব্যি শৈল্পিক একটা ব্যাপারও এসেছে। আর এসব যে ওই কাকেদেরই কীর্তি, সেটাও বুঝতে পারলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছড়িয়ে পড়ে এটি। স্টুয়ার্টের মতো সবাই অবাক হয়ে যান এমন ঘটনায়।
মানবিকতা— এই শব্দটায় মানব থাকলেও, কেবল মানুষের মধ্যেই নেই এই গুণ। পশুপাখিদের মধ্যেও আছে এই জিনিস। উপকারীদের ভুলতে পারে না তারা। তাদেরও যে স্মৃতি আছে, বোধ আছে, সেটা আমরা অনেক সময়ই বুঝি না। এদের কাছ থেকে, নিজেদের জন্যই কিছু শিখতে পারি না আমরা? যদি পারি, তাহলে এই হানাহানির, হিংসার পৃথিবী মুছে চারিদিক অনেকটা শান্ত হয়ে উঠবে। চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কি?