ভারতকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ, করোনার বিরুদ্ধেও জয়ের খোঁজ যোগিন্দর শর্মা-র

একটা সময় বল হাতে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন তিনি। ২২ গজের যুদ্ধে ভারতকে জিতিয়েওছিলেন। পরে সেই হাতে উঠে এসেছিল বন্দুক। হয়েছেন হরিয়ানা পুলিশের ডিএসপি। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে ক্রিকেটার তথা পুলিশ অফিসার যোগিন্দর শর্মার সম্পর্কে। সেই যোগিন্দরই এবার নেমে পড়েছেন আরেক যুদ্ধে। সকাল থেকে রাত অবধি রাস্তায় কাটাচ্ছেন। ক্রিকেট হেলমেটের বদলে মুখে মাস্ক। এই যুদ্ধটা যে করোনার বিরুদ্ধে। তাই সবাই যাতে প্রাণপণে এর বিরুদ্ধে লড়তে পারে, সেই চেষ্টাই করছেন যোগিন্দর শর্মা।

আরও পড়ুন
দুর্গতের জন্য রাস্তায় খাবারের প্যাকেট রেখে আসছেন মানুষ, মানবতার ছবি ইস্তাম্বুলে

২০০৭-এর টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা মনে পড়ে? ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি। শেষ ওভারে স্ট্রাইকিং এন্ডে দুরন্ত ফর্মে থাকা মিসবা উল হক। নবাগত ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি বল তুলে দিলেন যোগিন্দর শর্মার হাতে। বাকি গল্পটা শুধুই উল্লাসের। শ্রীসন্থের ক্যাচ, পাকিস্তানের শেষ উইকেটের পতন ও ভারতের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জয়। ২০০৭ সাল এভাবেই জুড়ে আছে আমাদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে জুড়ে আছেন যোগিন্দর শর্মাও। এত সহজে ভোলা যায় কি?

আরও পড়ুন
করোনা রুখতে কাজে ফিরলেন কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার ও নার্স

এই মুহূর্তে ৩৬ বছর বয়সী যোগিন্দর হরিয়ানার হিসারে কর্মরত। সকাল ৬টা থেকে ডিউটি শুরু হয়। যেহেতু এখন এমারজেন্সি, লকডাউন চারিদিকে; তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁদের মতো পুলিশকর্মীদের দায়িত্বটাও অনেক বেশি। প্রতিনিয়ত সবাইকে সচেতন করা, রাস্তায় কেউ বিপদে পড়লেই এগিয়ে আসা এই সমস্ত দিক দেখতে হয়। সেই সঙ্গে কোথাও ভিড় দেখলে সেটাকে কাটানোও তাঁর অন্যতম কাজ। যারা প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছেন না, তাঁদেরকেও সাহায্য করছেন যোগিন্দরের মতো পুলিশকর্মীরা। কখনও কখনও কড়াও হতে হয় এই কাজ করতে গেলে; হতে হচ্ছেও। যোগিন্দরের লক্ষ্য যে একটাই, করোনার সঙ্গে লড়তে হলে সবাইকে সচেতন করতে হবে, সেটা যে করেই হোক। ২২ গজ থেকে বেরিয়ে এই যুদ্ধটা যে আরও বড়ো। নিজের দেশ তো বটেই, গোটা পৃথিবীকে এই যুদ্ধে যে জিততেই হবে। জার্সি বদলালেও, লড়াইটা যে থামেনি!