বিগত কয়েক দশকের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা যে শুধু বেড়েছে তা নয়, পরিবর্তন ঘটেছে বাস্তুতন্ত্রেও। বহু প্রাণী বিলুপ্ত হবার পেছনে বিশ্ব উষ্ণায়নকে দায়ী করছেন অনেকেই।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এল আরও একটি ভয়ংকর তথ্য। মেরুপ্রদেশের বিভিন্ন হিমবাহ গলে যাবার ঘটনা এখন আর নতুন নয়। তবে পাইন আইল্যান্ডের হিমবাহের বরফ ফেটে যাওয়ার চিহ্ন দেখে রীতিমত শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা।
ইউরোপের কপারনিকাস সেনটিনেল স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেল দুটি বড়ো দাগ কুড়ি কিমি লম্বা হিমবাহের গায়ে। এ ধরনের ফাটা দাগকে কাভিং বলে। পাইন আইল্যান্ড হিমবাহের গায়ে এই দাগ দেখা গেছে। এই হিমবাহ গত পঁচিশ বছরে প্রচুর বরফ ছেড়েছে সমুদ্রে। ই এস এ রিপোর্ট অনুযায়ী, পাইন আইল্যান্ড হিমবাহ প্রতিদিন দশ মিটার করে এগোচ্ছে। ১৯৯২ সাল থেকেই বেশ কিছু বছর অন্তর বেশ কয়েকবার এই দাগ দেখা গেছে।
এই ধরণের কাভিং প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এত ঘন ঘন কাভিং সমুদ্রের জলস্তর বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নকেই। ২০১৮ সালের কাভিং বি৪৬ বলে একটি আইসবার্গের জন্ম দেয়, যা প্রায় সাতাশি স্কোয়ার মাইল জুড়ে অবস্থান করছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এ এক চরম বিপদসঙ্কেত।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী এগিয়ে চলেছে ধ্বংসের পথে। গতমাসে গ্রিনল্যান্ডে দুই গিগাটন বরফ গলেছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন ধ্বংস করতে চলেছে জীবজগতের বসবাসযোগ্য একমাত্র এই গ্রহকে। পরিবেশ সম্পর্কে মানুষ সচেতন না হলে, পৃথিবীর সামনে আসতে চলেছে ঘোর বিপদ।