Powered by Froala Editor
কোভিড ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া : কবে, কোথায়, কাদের?
১/৭
বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারী এক বছর পার করে ফেলেছে। আর এই আতঙ্কের হাত থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় প্রতিষেধক। দীর্ঘ গবেষণার পর বেশ কিছু প্রতিষেধক যথেষ্ট আশার সঞ্চার করেছে। কিন্তু কবে থেকে পাওয়া যাবে এই প্রতিষেধক? রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনার শেষে সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
২/৭
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এর মধ্যেই প্রতিষেধক প্রয়োগের সবরকম পরিকাঠামো তৈরি। তবে সামনে মকর সংক্রান্তি, পোহা প্রভৃতি বেশ কিছু উৎসব থাকায় কিছুটা সময় রাখা হচ্ছে। মোটামুটিভাবে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ভ্যাকসিনেশন।
৩/৭
যদিও এখনও অবধি কোনো প্রতিষেধকই সমস্ত স্তরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ করেনি, কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে দুট প্রতিষেধককে স্বীকৃতি দিতে চলেছে স্বাস্থ্য সংস্থা। এগুলি হল ‘কোভিশিল্ড’ এবং ‘কোভ্যাক্সিন’। এই দুটি প্রতিষেধকই মানব শরীরে যথেষ্ট কার্যকর এবং তেমনভাবে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে জানানো হয়েছে।
৪/৭
সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়াকে চারটি স্তরে ভাগ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি স্তরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। শেষ ধাপের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবশ্য সেভাবে কিছু জানানো হয়নি। প্রথম স্তরে দেশের ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে এবং দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী সহ ২ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
৫/৭
প্রথম দুই ধাপের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক মানুষদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। তবে ৫০ বছরের কম বয়সি যে সমস্ত মানুষের কো-মর্বিডিটির সমস্যা আছে তাঁরাও এই ধাপে প্রতিষেধক পাবেন। তার জন্য উপযুক্ত মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এই পর্যায়ে ৩০ কোটি মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
৬/৭
কোভিড ভ্যাকসিনেশনের জন্য ‘কো-উইন’ নামে বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আসতে চলেছে কেন্দ্র। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আধারকার্ড ব্যবহারকারী সমস্ত মানুষ নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে যতদিন এই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হচ্ছে না, ততদিন ভোটার তালিকা অনুযায়ী প্রতিষেধক দেওয়া হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
৭/৭
শেষ ধাপের, অর্থাৎ ৫০ বছরের কম বয়সি মানুষদের প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে আশা করা যায় খুব শিগগিরি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হবে। শেষ হবে এক অন্ধকার সময়। করোনার আতঙ্ক পেরিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে দেশ।