অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক পরার বালাই নেই। আর সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং তো দূরের কথা। মাঠ জুড়েই থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। মহামারীর পরিস্থিতিতে কোভিড প্রটোকলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবেই পালিত হল রাবণ-দহন অনুষ্ঠান। সামিল ছিলেন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ।
উৎসবের মরশুমে ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। নিষিদ্ধ হয়েছিল মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ। তা সত্ত্বেও ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু দুর্গাপুজোর মতো কড়াকড়িভাবে দশেরার জন্যেও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। যদিও সতর্কতা ছিলই।
খড়গপুরের নিউ সেটলমেন্ট অঞ্চলের এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে ৯৫ বছর ধরে। দশেরার প্রাক্কালেই জেলা পুলিশ ও দশেরা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এ বছর ভার্চুয়ালিই দেখতে হবে রাবণ দহন। বহিরাগতদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র স্থানীয়দেরই প্রবাশাধিকার দিয়েছিল কমিটি। কিন্তু তারপরেও বাঁধ ভাঙা জনস্রোত কেন, প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে সে ব্যাপারেই।
এদিন ওই অঞ্চলে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক, বিধায়ক এবং উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারাও। নিউ সেটলমেন্টের বিধায়কের দাবি সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনেই আয়োজিত হয়েছে অনুষ্ঠান। যদিও প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও অন্য কথাই বলছে। খড়গপুরে বাঙালির পাশাপাশি হিন্দিভাষী জনবসতি রয়েছে বহুলাংশে। ফলে রাজনৈতিকভাবেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চল। আর সে জন্যই কি ঢিলেঢালা মানসিকতা ছিল প্রশাসনের?
খড়গপুরে এখনও অব্যাহত করোনাভাইরাসের প্রকোপ। রোজই সন্ধান মিলছে নতুন পজিটিভ রোগীর। তারই মধ্যে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের। এর কারণে এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। থাকছে সেই সম্ভাবনাও। জেলা শাসক রোশনি কমল নিজেও একজন চিকিৎসক। অনুষ্ঠানের দিন মুখে মাস্ক ছিল না তাঁরও। একজন চিকিৎসক হয়েও এই ধরণের সচেতনতার অভাবে অবাক সকলেই...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পুজোর দিনগুলিতে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি রাজ্যে, আমরা ওয়াকিবহাল তো?