সংক্রমণের হারের নিরিখে বিশ্বে শীর্ষস্থানে ভারত, অশনি সংকেত দিল মার্কিন সংস্থা

দেশে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ছুঁই ছুঁই। এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৩ হাজার মানুষের। পরিস্থিতি যে ক্রমশ কঠিন হচ্ছে তার আভাস দিয়েছিল দেশের স্বাস্থ্যমহলই। তবে দেশের অবস্থা কতটা শোচনীয় তারই ছবি তুলে দিল আমেরিকার এক সংস্থা। জানাল, সংক্রমণের হারের নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। 

পৃথিবীতে এই মুহূর্তে শীর্ষস্থানে রয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয়স্থানে ব্রাজিল। দুই দেশে সংক্রমণের সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় ৪৫ লক্ষ এবং ২৪ লক্ষ। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমবার্গের সংস্থা কোভিড ট্র্যাকার জানাল শীর্ষস্থানীয় এই দুই দেশের থেকে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও সংক্রমণের হার অনেক বেশি। বা বলা ভালো, সারা পৃথিবীর মধ্যে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ। এবং প্রতি সপ্তাহেই তা বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যার নিরিখে, শুধু এই সপ্তাহে গত সপ্তাহের থেকে ভারতে সংক্রমণ বেড়েছে ২০ শতাংশ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ লক্ষের আশেপাশে।

ভারতে এখনও অবধি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লক্ষ। যা ব্রাজিল, পেরু বা মেক্সিকোর থেকে বেশ খানিকটা বেশিই। কিন্তু টেস্ট বাড়ানোর পরও, এই মার্কিন সংস্থা জানাচ্ছে পর্যাপ্ত টেস্ট হচ্ছে না ভারতে। জনসংখ্যার বিচারে এই সংখ্যা পারতপক্ষে খুবই কম। ভারতে প্রতি হাজার মানুষের মধ্যে টেস্ট হয়েছে মাত্র ১২ জনের। আমেরিকা বা ব্রাজিলে সেই সংখ্যা যথাক্রমে ১৬৪ এবং ৫৯। আর সেই কারণে কমতি থেকে যাচ্ছে সংক্রমিতদের চিহ্নিতকরণেও। কার্যত ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিকাঠামোর দিকেই আঙুল তুলেছে মার্কিন সংস্থা। পাশাপাশিই জানিয়েছে জনঘনত্ব বেশি হওয়ায় ভারতের সংক্রমণ চেহারা নিতে চলেছে আরও ভয়ঙ্কর। দিয়ে রেখেছে সেই অশনি সংকেতও। 

একটা সময় রাশিয়ার থেকে সংক্রমণে ভারত পিছিয়ে ছিল। এখন ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা রাশিয়ার প্রায় দ্বিগুণ। এর পরেও এমনই গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে ব্রাজিল এবং আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, তাতে সন্দেহ নেই। 

গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে দেশে, তা আগেই স্বীকার করে নিয়েছিল দেশের চিকিৎসকরা এবং প্রশাসন। সংক্রমণ আয়ত্তে আনার জন্য বিভিন্ন রাজ্যগুলি আনলকের পরেও আবার পৃথকভাবে লকডাউনের পথে হেঁটেছে। কিন্তু তার পরেও সচেতনতা ফিরছে না মানুষের। আয়ত্তে আসছে না পরিস্থিতি। এর শেষ যে কোথায়, সেই ব্যাপারে সংশয় থেকেই যাচ্ছে...

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
স্বল্প খরচে করোনা পরীক্ষার র‍্যাপিড কিট নিয়ে এল খড়গপুর আইআইটি