ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৭ লক্ষ। মৃত্যুর সংখ্যা স্পর্শ করল ২০ হাজার। এই কঠিন পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল, ভারতে করোনা টেস্টের গড় পজিটিভিটির হার এই মুহূর্তে ৬.৭৩ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সোমবার প্রকাশ করে এই তথ্য। জানানো হয়, বাড়ানো হয়েছে দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যা। তার সঙ্গেই বাড়তি সতর্কতা নিয়ে সংক্রমিতর এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আলাদা করে পাঠানো হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে। ইতিমধ্যেই সারা দেশে ১ কোটির বেশি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দিল্লিতে করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টেস্ট। ফলে কমেছে করোনার পজিটিভিটির হার। যা একদিক থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে এই খারাপ পরিস্থিতিতেও।
হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, কোনো দেশের পজিটিভিটির হার যদি কম থাকে, তবে বোঝা যায় পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে সেখানে। পাশাপাশি বোঝা যায় কতটা সেরে উঠছে মহামারীর পরিস্থিতি। এই ব্যাপারে সায় দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারা জানিয়েছে, টানা ১৪ দিন ৫ শতাংশ বা তার কম পজিটিভিটির হার না হলে, উত্তরোত্তর বাড়ানো উচিত পরীক্ষার সংখ্যা। ভারতে হার খানিকটা কমলেও এখনও ৫ শতাংশের সীমারেখায় পৌঁছাতে বেশ বাকি।
আশার আলো দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। এখনো অবধি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ। অর্থাৎ ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ। তবে অন্যদিকে রাশিয়াকে টপকে আক্রান্তের নিতিখে তৃতীয় স্থানে ভারত। চিকিৎসার ক্ষেত্রে খানিকটা সফলতার মধ্যেও, দেশের এই ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের গ্রাফ আশঙ্কা তৈরি করছে চিকিৎসকদের মধ্যে।
Powered by Froala Editor