মাত্র ১২০ ঘণ্টা। তার মধ্যেই ভারতে করোনায় আক্রান্ত হলেন ১ লক্ষাধিক মানুষ। মহামারীর ব্যপ্তি, সংক্রমণ যে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ভারতে; এ যেন তারই সংকেত। ফলে আজ বৃহস্পতি বার মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লক্ষ ৮ হাজারে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৮ হাজার ছুঁই ছুঁই।
তবে খানিকটা হলেও বাড়ল সুস্থতার হার। দেশে সামগ্রিকভাবে সুস্থ হয়েছেন ৫৯.৫ শতাংশ মানুষ। কিন্তু পাল্লা দিয়ে আকাশছোঁয়া আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। গত বুধবার আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা তার থেকেও হাজার খানেকের বেশি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি এদিন মারণ ভাইরাসের কবলে প্রাণ যায় ৪৩৪ জনের।
পরিসংখ্যার হিসেব দেখাচ্ছে ভারতে ১০টি রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ সঙ্গীন হচ্ছে। রয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গ। ভারতে মোট আক্রান্তের প্রায় ৯০ শতাংশই এই রাজ্যগুলির বাসিন্দা। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়ছে তুলনামূলকভাবে কম আক্রান্ত রাজ্যগুলিতেও। তবে সংক্রমণের গতি কমাতে কিছুটা হলেও সফল রাজধানী। যেখানে সংক্রমণের হার পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হয়েছিল, জুলাইয়ের আগেই ১ লক্ষ ছোঁবে দিল্লি। সেখানে এখনও আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার।
বিশ্বে করোনা আক্রান্তের নিরিখে এখনও শীর্ষে আমেরিকা। ২৬ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত সে দেশে। গত বুধবারই আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল এবং রাশিয়া। কিন্তু ভারতের সংক্রমণের হার আশঙ্কা দেখাচ্ছে, রাশিয়াকে পেরিয়ে যেতে পারে ভারত। দুই দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের তফাৎ মাত্র ৫০ হাজারের।
আরও পড়ুন
৯৮ বছর বয়সে হারালেন করোনাকে, রাজ্যের প্রবীণতম করোনাজয়ী এই ব্যক্তি
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লক্ষ হতে সময় লেগেছিল ৬ দিন। এবার ৫ দিনের মধ্যেই গণ্ডি পেরোল ৬ লক্ষের। এই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার উপায় এখনো বাতলাতে পারেননি চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি প্রশাসন এই সংক্রমণ রুখতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তাও সুস্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে দেশ হেঁটেছে দ্বিতীয় পর্বের আনলকের দিকে। আরও শিথিল হয়েছে লকডাউন। কিন্তু এর মধ্যে দিয়েই ১৩০ কোটির জনঘনত্বপূর্ণ দেশের পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে কি? উঠছে সেই প্রশ্নই। একমাত্র সময়ই উত্তর দেবে তার...
Powered by Froala Editor