Powered by Froala Editor
জাতিপুঞ্জের স্বীকৃতির অপেক্ষায় পৃথিবীর যেসব দেশ
১/৬
৫ মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে, আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা দখল করেছে তালিবান গোষ্ঠী। তবে এখনও অবধি পৃথিবীর কোনো দেশই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। সামরিক শাসনে কোনো অসুবিধা হয়নি এখনও। তবে আজকের বিশ্বায়িত পৃথিবীতে প্রতিটা সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ভীষণ প্রয়োজন। তবে শুধু আফগানিস্তানই নয়। পৃথিবীতে এমন আরও দেশ আছে, যাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি এখনও। হয়তো কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি মিলেছে। কিন্তু জাতিপুঞ্জ থেকে স্বীকৃতি এখনও পায়নি। রইল সেইসব দেশের কথা।
২/৬
নর্দার্ন সাইপ্রাস – জাতিপুঞ্জের তালিকায় এই দেশটির এখনও কোনো অস্তিত্ব নেই। ভূমধ্য সাগরের তীরে সাইপ্রাস দ্বীপটি জাতিপুঞ্জের তালিকায় একটি পৃথক দেশ হিসাবেই চিহ্নিত। ১৮৭৮ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল এই দ্বীপটি। তবে এর মধ্যেই ’৭০-এর দশকে গ্রিক এবং তুর্কিদের অনুপ্রবেশ ঘটতে থাকে। ফলে স্বাধীনতার সময়েই তাঁদের নিজস্ব মিলিটারি বাহিনীও গড়ে ওঠে। সাইপ্রাস দ্বীপের উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে নেয় তুর্কি বাহিনী। সেখানে সাইপ্রাস সরকারের শাসনও কাজ করে না। তবে তুরস্ক ছাড়া অন্য কোনো দেশ নির্দার্ন সাইপ্রাসকে পৃথক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়নি।
৩/৬
তাইওয়ান বা রিপাবলিক অফ চিন – বলাই বাহুল্য এটি পিওপলস’ রিপাবলিক অফ চিন নয়। তবে তাইওয়ানের এই সরকারকেই প্রথমে স্বীকৃতি জানিয়েছিল জাতিপুঞ্জ। ১৯১২ সালে তাইওয়ানে তৈরি হয় এই সরকার। তারপর দীর্ঘ জাপ যুদ্ধ চলে। ১৯৪৯ সাল থেকে জাতিপুঞ্জের বেশিরভার সদস্যই রিপাবলিক অফ চিনকে স্বীকৃতি জানিয়ে এসেছে। তবে এই সময় থেকেই ধীরে ধীরে স্বীকৃতি পেতে শুরু করে পিওপলস’ রিপাবলিক অফ চিন। বেজিং কেন্দ্রিক এই সরকারই এখন জাতিপুঞ্জ স্বীকৃত। তবে বেজিং সরকারের অনেক নিয়মই তাইওয়ানে খাটে না।
৪/৬
কসোভো – ২০০৮ সালে সার্বিয়ার শাসনমুক্ত হয় কসোভো। অবশ্য সার্বিয়া সরকারের মতে, কসোভো এখনও তাঁদের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যেই পড়ে। এবং সেটি একটি স্বশাসিত অঞ্চল। জাতিপুঞ্জের তালিকাতেও এখনও তেমনটাই উল্লেখ রয়েছে। তবে এর মধ্যেই কসোভোর স্বাধীন সরকার একাধিক দেশের কাছে কাছে স্বীকৃতির জন্য আবেদন জানিয়েছে। ইতিমধ্যে জাতিপুঞ্জের ৯৭টি সদস্যরাষ্ট্র এবং ইউরোপের ২২টি দেশ স্বীকৃতিও জানিয়েছে। তবে মানচিত্রে কসোভো এখনও পৃথক রাষ্ট্র নয়।
৫/৬
সাহারাই আরব ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক – ১৯৭৬ সালের মধ্যে সাহারা মরুভূমি থেকে স্পেনের আধিপত্য মুছে যায়। ইতিমধ্যে ১৯৫৬ সালে ফ্রান্সের শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে মরোক্কো। এমন সময়ে আরব সরকার সাহারায় ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা বিস্তারের চেষ্টা করে। অবশ্য সেই চেষ্টা পুরোপুরি সফল হয়নি। মরোক্কো স্বাধীন দেশ হিসাবেই স্বীকৃত। তবে তার পূর্বাংশের কিছু অঞ্চল মরোক্কোর শাসন মানতে নারাজ। তাঁদের নিজস্ব সরকারও রয়েছে। আরব আমিরশাহী সহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক ইসলামিক রাষ্ট্র এই সরকারকে স্বীকৃতিও জানিয়েছে।
৬/৬
আবখাজিয়া প্রজাতন্ত্র – কৃষ্ণ সাগরের তীরে দক্ষিণ ককেসাস দ্বীপে অবস্থিত আবখাজিয়া প্রজাতন্ত্র। অবশ্য এখনও জাতিপুঞ্জের তালিকায় তা জর্জিয়া সরকারের অধীনস্থ। তবে সেখানে জর্জিয়া সরকারের কোনো আইনই কাজ করে না। নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থাও রয়েছে। ১৯৯৯ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে আবখাজিয়া। এর মধ্যে রাশিয়া, ভেনেজুয়েলা সহ জাতিপুঞ্জের ৫টি সদস্যরাষ্ট্র এই সরকারকে স্বীকৃতিও জানিয়েছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বীকৃতি এখনও মেলেনি।