এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে একটা নাম। করোনা ভাইরাস। চিনে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে এই রোগটি। আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। মারাও গেছে অনেকে। তার মধ্যেই এই আতঙ্ক ঢুকল কলকাতায়। ইতিমধ্যে একজন মারাও গেছে এখানে। ডাক্তারদের সন্দেহ, মৃত্যুর পেছনে দায়ী এই করোনা ভাইরাসই।
শীতের তিলোত্তমা আবার নতুন করে রোগের কবলে পড়ল। এমনিতে জানুয়ারির শেষের দিকে শহর কলকাতা মেতে ওঠে বইমেলার আনন্দে। তার পাশাপাশি আরও একটা অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষায় থাকেন শহরের একাংশ। চাইনিজ নিউ ইয়ার কার্নিভাল। ২৫ জানুয়ারি থেকে শহরের ট্যাংরা-সহ অন্যান্য এলাকায় চাইনিজ কমিউনিটিরা বড় করে উৎসব করেন, বাইরে থেকেও আসেন অনেকে। কিন্তু এই বছর সেখানেও থাবা বসিয়েছে করোনা আতঙ্ক। চায়না টাউন সেজে উঠলেও, রোগের কথাও ছিল সেই আয়োজনে। যদিও এরা অনেকদিন ধরেই এখানে বসবাস করছেন। পূর্বপুরুষের পরিচয় বাদ দিলে, চিনের সঙ্গে যোগাযোগ তেমন নেই তাঁদের। কিন্তু তাও, আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই করোনা ভাইরাস পশু থেকে মানুষের মধ্যে প্রবাহিত হয়। আক্রান্ত মানুষের থেকে অন্য সবার মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচি, কাশি, এমনকি হাত মেলালেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। সাধারণ জ্বর, গা হাত-পা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এর অন্যতম লক্ষণ। শনাক্ত করতে দেরি হয়ে গেলে, আক্রান্তের মৃত্যুও হতে পারে। এই যাবতীয় ঘটনা নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিন্তিত কলকাতাও। সামান্য হলেও, করোনা’র থাবা যে পড়ে গেছে এখানে!