করোনার জেরে নাজেহাল অবস্থা সর্বত্র। ভারতেও যত দিন যাচ্ছে, অবস্থা গুরুতর হচ্ছে। লকডাউনের মেয়াদও বাড়িয়ে দেওয়া হল ৩ মে পর্যন্ত। সুস্থও হচ্ছেন মানুষরা, কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যাও থামার লক্ষণ দেখাচ্ছে না। এমন অবস্থায় আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রের একটি মূল্যায়ন। সেখানে দাবি করা হয়েছে, মে মাসের প্রথমেই ভারত করোনা সংক্রমণের শিখরে পৌঁছতে পারে। যা ইতিমধ্যেই চিন্তায় ফেলেছে সবাইকে।
রাজ্য হোক বা কেন্দ্র, সমস্ত জায়গা থেকেই করোনা দমনের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরাও প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু গ্রাফ এখনও ঊর্ধ্বমুখী। জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল সংক্রমণ, আর আজ সংখ্যাটা ১৩,৮০০ ছাড়িয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হবার সময় আরও হয়ত বেড়ে যাবে সংখ্যাটা। মৃতের সংখ্যাও ৫০০ ছুঁইছুঁই। এমন অবস্থায় লকডাউনের দ্বিতীয় দফাও শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে করোনা হটস্পট চিহ্নিত করার কাজও এগোচ্ছে। এইসব দিকে লক্ষ্য রেখেই এমন দাবি করেছে কেন্দ্রের একটি সূত্র। এমনিতে, করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানোর পথে হেঁটেছে সমস্ত জায়গা। এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
তবে তাঁদের মতে, এতে আখেরে লাভই হবে। যত বেশি পরীক্ষা হবে, তত সামগ্রিক পরিস্থিতিটা বুঝতে পারবে সবাই। সেই অনুযায়ী প্রশাসন ও চিকিৎসকমহল ব্যবস্থা নিতে পারবে। ফলে আস্তে আস্তে করোনাকে আয়ত্তে আনা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পরবর্তী এক-দুই সপ্তাহ গোটা ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবার আগে সচেতন হতে হবে আমাদের। একটু যদি এই সময় লকডাউনের নিয়ম মেনে চলি, তাহলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু দেখতে পারি আমরা। জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে ডাক্তারের সঙ্গে একটু পরামর্শ করে নিলে তো ভালোই। সবাই মিলে একসঙ্গে এগিয়ে এলেই আমরা জয় করতে পারব এমন পরিস্থিতি।