বিশ্বজুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে করোনা ভাইরাস তার দাপট দেখিয়ে চলেছে ৬ মাস হয়ে গেল। সময় যত এগিয়েছে, নেওয়া হয়েছে প্রতিরোধের ব্যবস্থাও। চিকিৎসকদের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রুখতে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সমস্ত দেশের সরকার। কিন্তু এতেও কাজের কাজ তেমন কিছু হচ্ছে কি? অন্তত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী তেমন কোনো সংকেত পাওয়া যাচ্ছে না। বরং সমস্ত রেকর্ডকে পিছনে ফেলে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যানে তাই রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল। তাঁর কথায়, মার্চ-এপ্রিল মাসে ইউরোপ, আমেরিকা এবং চিনে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছলেও গোটা পৃথিবীতে এত মানুষ আক্রান্ত হননি। কারণ তখনও অনেক অংশই ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু এখন ল্যাটিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য-প্রাচ্যের দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে করোনা ভাইরাস। আর তার ফলে করোনাকে এখন প্রকৃত অর্থেই গোটা পৃথিবীর সংকট বলে ঘোষণা করা যায়।
২১ জুন ৫৪,৭৭১ জন নতুন রোগীকে নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। আমেরিকা আছে দ্বিতীয় স্থানে। সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬,৬১৬ জন। আর এর পরেই ভারতের স্থান। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। আর এর ফলে বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৮৭ লক্ষ। তাই স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মনেও। অনেকেই ভাবছেন, তাহলে লকডাউন কি ব্যর্থ হল?
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনারেল ডিরেক্টর টেড্রোস গ্যাব্রিয়েসুসের কথাতেও আতঙ্কের সুর স্পষ্ট। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে সাধারণ মানুষকেও। প্রত্যেকের মিলিত উদ্যোগ ছাড়া করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই এক কথায় অসম্ভব, সেই কথাই উঠে আসছে তাঁর বক্তব্যে।
Powered by Froala Editor