আমফান বিপর্যয়ের মধ্যেও নিজের মারণ থাবা সরায়নি করোনা ভাইরাস। ভারত তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এরই মধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কোভিড চিকিৎসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। প্রথমবার কোনো কোভিডজয়ীর দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হল রাজ্যে। সেই সঙ্গে করোনাকে হারানোর পর আবারও সামনে উঠে এল মনামী বিশ্বাসের নাম।
হাবড়ার মেয়ে বছর বাইশের মনামী পড়াশোনা সূত্রে স্কটল্যান্ডে ছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পরেই তাঁর দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। উল্লেখ্য, রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত ছিলেন তিনি। চিকিৎসার ফলে সম্পূর্ণ সুস্থও হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে তিনি তো একা নন; রাজ্যের আরও অনেক মানুষ এই রোগের কবলে পড়েছেন। এখনও কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। এদিকে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্লাজমা থেরাপির কথা বারবার উঠে আসছিল। সেই থেরাপিতে সাহায্যের জন্যই এগিয়ে এলেন মনামী। তাঁর দেহ থেকে প্লাজমা নিয়ে যাতে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা জায়া, সেই আবেদনই করেছিলেন তিনি।
আবেদনে সাড়াও মিলেছিল দ্রুত। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সম্প্রতি সেই সংগ্রহের কাজও সম্পূর্ণ হল। মোট ৪১০ মিলিলিটার প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এর সঙ্গেই তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি ইতিহাস। শুধু এই রাজ্যে নয়, গোটা পূর্ব ভারতে এই প্রথম করোনামুক্তের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হল। শুধু প্লাজমা থেরাপির জন্য মেডিক্যাল কলেজেও প্রথমবার ব্যবহৃত হল সেল সেপারেটর যন্ত্র। আর সেই ইতিহাসের অংশীদার হলেন মনামী বিশ্বাস এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। তবে আরও বেশ কয়েকজনের প্লাজমা সংগ্রহ করার প্রয়োজন। তারপরেই চিকিৎসার কাজ শুরু করে দেবেন ডাক্তাররা। শুরু যখন হয়েছে, তখন এই কাজটাও তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ডাক্তাররা। আশাবাদী মনামীও…
Powered by Froala Editor