করোনার দ্রুত সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভেঙে পড়ছে সারা বিশ্বের অর্থনীতি। দীর্ঘ লকডাউনে বেহাল জনজীবন। বহু মানুষের উপার্জনের সমস্ত রাস্তাও বন্ধ। এমনকি এই সংকট শিশুদেরও ক্ষমা করছে না। শিশুরা আক্রান্ত তো হচ্ছেই, পাশাপাশি খাদ্যাভাব ও অনাহার তাদের জীবনে সংকটও ডেকে নিয়ে এসেছে। আর এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে চিন্তিত রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মকর্তারাও।
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মহামারীর শিকার হতে চলেছে ৪২ থেকে ৬৬ মিলিয়ন শিশু। না, ভাইরাসের আক্রমণে নয়, প্রত্যেকেরই সংকটের কারণ অর্থনৈতিক ভগ্নদশা। এমনকি এই সংকটের প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে, সেই সংকেত আছে রিপোর্টেই। রিপোর্ট অনুযায়ী, অর্থনৈতিক ভগ্নদশার কারণে প্রাণ সংশয় রয়েছে কয়েক লক্ষ শিশুর। এমন পরিস্থিতিতে কী করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তিত প্রতিটি দেশের সরকারও। জাতিপুঞ্জের তরফ থেকেও একটি নীতিনির্ধারণ কর্মসূচি স্থির করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী লকডাউনের জেরে বহু মানুষ বিপাকে পড়েছেন। অনাহারে, অর্ধাহারে বেঁচে আছেন কোনোমতে। আর সবচেয়ে বেশি সংকটে আছেন দিন-আনি-দিন-খাই মানুষরা। সঞ্চয় বলতে তেমন কিছুই নেই তাঁদের। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বর্তমান সময় যতটা ধাক্কা খেয়েছে, এমনটা আগে দেখেননি কেউই। এমনকি ইতিহাসের অন্য কোনো মহামারীও এমন পৃথিবীব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিল বলে জানা নেই। আর শুধুই তো বর্তমান নয়, মহামারীর ভয়াবহতা প্রভাব ফেলে যায় সভ্যতার ভবিষ্যতেও। আজকের শিশুরাই তো সেই ভবিষ্যতের রচয়িতা। মহামারীর প্রভাব থেকে সেই ভবিষ্যতকে কি সুরক্ষিত করতে পারব আমরা? ভবিষ্যতেই এর উত্তর পাওয়া যাবে।