তিনি স্বাধীনতার অগ্রপথিক। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সূর্যের দূত। এবার তাঁর শতবর্ষের জন্মদিনেও থাবা বসাল করোনা। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, দেশে মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর যাবতীয় অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
পৃথিবীজুড়ে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি, করোনা ভাইরাস নিয়ে চিন্তায় হু-ও
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শেখ মুজিব-কে, তা আর নতুন করে বলার কোনো দরকার নেই। শুধু প্রধানমন্ত্রী হাসিনারই জন্মদাতা নন; একটা জাতির, একটা দেশেরও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। ২০২০ তাঁর জন্মের শতবর্ষ। সেইজন্য গত বছর থেকেই নানা কর্মসূচির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তারই অংশ ছিল মার্চের ১৭, ২৫ আর ২৬ তারিখের বিশেষ অনুষ্ঠান। আওয়ামী লীগের সেন্ট্রাল এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকের পর সেই অনুষ্ঠানই সাময়িক স্থগিত রাখলেন হাসিনা। সৌজন্যে, নোবেল করোনা ভাইরাস।
আরও পড়ুন
কলকাতায় করোনা-আতঙ্ক, চিনা নববর্ষ উদযাপনে ভাটা শহরে
এই মূহুর্তে গোটা বিশ্বেই ভয়ংকর আকার নিয়েছে এই ভাইরাস। রোজ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও দ্রুত হারে বাড়ছে। করোনার মারণ প্রকোপ এসে পড়েছে বাংলাদেশেও। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে, অনুষ্ঠানের থেকে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা অনেক বেশি জরুরি বলে মনে করছেন হাসিনা এবং তাঁর সরকার। তাই আপাতত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মার্চের যাবতীয় অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এমনকি, ২৬ মার্চের শিশুদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ পদযাত্রাও স্থগিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন
করোনা রুখতে, মাত্র ১০ দিনেই হাসপাতাল তৈরির পথে চিন
আপাতত লক্ষ্য, দেশের সমস্ত হাসপাতালকে তৈরি রাখা এবং সমস্ত মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। যে করেই হোক, করোনা-মুক্ত বাংলাদেশকে হাজির করাতে হবে, এটাই এই মুহূর্তে দেশের পণ।