দেখতে দেখতেই ৪০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল রাজ্য। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় দু’হাজারের বেশি। প্রায় সব মহলেই আশঙ্কা বাড়ছিল রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে। এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকেই ঘোষণা করা হল আশনি সংকেত। রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রকাশ্যে জানালেন, বাংলায় শুরু হয়ে গেছে গোষ্ঠী সংক্রমণ।
দেশে যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে, তা পরশুই স্বীকার করেছিলেন আইএমএ-র চেয়ারম্যান। তবে কলকাতায় যথেষ্ট খারাপ অবস্থা থাকার পরও কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কথা মানতে নারাজ ছিলেন রাজ্যের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সত্যি হল সেই আশঙ্কাই।
একদিকে যেমন ভয়াবহ মহামারীর পরিস্থিতির মোকাবিলা, অন্যদিকে অর্থনীতি সচল রাখার চেষ্টা। এই দুইয়ের কথা ভেবেই এখন থেকে রাজ্যে সপ্তাহে দু’দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এবং শনিবার জারি থাকবে লকডাউন। লাগু হবে পরের সপ্তাহে বুধবারও। তারপর আবার কবে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে রাজ্যের সমস্ত পরিষেবা, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করেই জানানো হবে দ্রুত।
পাশাপাশিই এবার থেকে শনি ও রবিবার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব ব্যাংকের সব জায়গার শাখাও। ব্যাংক কর্মীরা বহুদিন যাবত এই দাবি করেছিলেন। আজ এ ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এই সিদ্ধান্ত এন আই অ্যাকট এর সেকশন পঁচিশ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনো অবধি জানানো হয়েছে , পরবর্তী কোনো রকম নোটিশ যতদিন রাজ্য জারি করছে না ততদিন বজায় থাকবে এই নিয়ম।
আরও পড়ুন
শিয়রে করোনা; কীভাবে লড়াই করবেন? জেনে নিন প্রাথমিক ধাপগুলি
সেই সঙ্গেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আসন্ন চরমাবস্থার জন্য বাড়ানো হয়েছে কোভিড-১৯ হাসপাতালের সংখ্যা। চেষ্টা চলছে আরও খানিকটা বাড়ানোর। তবে তুলনামূলক মাইল্ড ও উপসর্গহীনদের রাখা হবে সেফ হাউসে বা হোম কোয়ারেন্টাইনে। জোর দেওয়া হবে টেস্টেও। গোষ্ঠী সংক্রমণে যে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেশ বড়ো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তা বেশ স্পষ্ট। করোনা রুখতে রাজ্যের এই নতুন স্ট্র্যাটেজি কতটা কাজে আসে, এখন সেটাই দেখার...
আরও পড়ুন
এক সময় ছিল ‘হটস্পট’, দিল্লির করোনা-জয় উদ্বুদ্ধ করছে গোটা দেশকে
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
২০২১-এর আগে করোনার ১০০% কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার অসম্ভব, দাবি ফরাসি বিজ্ঞানীর