একটি সাদামাটা বিজ্ঞাপন। মাঝখানে একটি হাঁসের ছবি, ওপরে লেখা ‘হাঁস ধরার প্রতিযোগিতা’। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই কৌতূহল প্রকাশ করেছেন। কিন্তু যারা বহু বছর গ্রামবাংলায় বা মফস্বলে কাটিয়েছেন, তাঁদের কাছে হয়তো খুব একটা নতুন নয় এই খেলা। শুধু এটাই নয়, আরও বহু খেলা যা বাংলার নিজস্ব, হারাতে বসেছে ধীরে ধীরে।
হাঁস ধরার প্রতিযোগিতা এমনিতে বেশ মজাদার। পুকুরে একটি হাঁসকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে ধরতে সেই পুকুরেই নেমে চেষ্টা করতে থাকেন প্রতিযোগীরা। খেলায় অবশ্যই থাকে একজন রেফারি। বাঁশি বাজালেই শুরু হয় খেলা। আপাত দৃষ্টিতে খুব সহজ লাগলেও, যারা একসময় খেলেছেন তাঁরা জানেন এটি কতটা কঠিন। তাঁদের মতে, ভরা পুকুরে একটি হাঁসকে বাগে আনা অত্যন্ত কষ্টকর। তার ওপর, হাঁস একবার ডাঙায় উঠে গেলে তাকে আর ধরা যাবে না। এতসবের মধ্যেও, যিনি হাঁসটিকে ধরবেন, তিনি জিতবেন। একটা সময় সেই হাঁসকেই পুরস্কার হিসেবে পেত বিজেতা। এখন অবশ্য অর্থমূল্য দেওয়া হয়।
একটা সময় দুই বাংলার নানা জায়গায় এই প্রতিযোগিতা ব্যাপক ভাবে হত। আজ সংখ্যায় অনেক কমে এসেছে। আজকের দিনে অনেক পুকুরেই মাছ চাষ করা হয়। তাই পুকুরের জল ঘোলা হোক, চান না তাঁরা। তার ওপর বাংলার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টির যুগে তাই হারিয়ে যাচ্ছে এমন গ্রামীণ খেলাগুলি।