কথায় বলে, তরবারির চেয়ে কলম বেশি শক্তিশালী। আর এই প্রবাদবাক্যকেই মন্ত্র করে নিয়েছেন অল তাওয়াং ডিসট্রিক্ট স্টুডেন্টস’ ইউনিয়ন। ভারত আর চিনের সীমান্ত সংঘর্ষ যখন সারা দেশে অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে, তখন সীমান্ত থেকে মাত্র কিছু দূরে গুটিকয় পড়ুয়া প্রস্তুতি নিচ্ছিল আরেক যুদ্ধের। সে যুদ্ধ অশিক্ষার বিরুদ্ধে। আর এই যুদ্ধে সৈনিকের কাজ করেছেন সেখানকার ছাত্ররাই।
অরুণাচল প্রদেশের দুর্গম অঞ্চলে তাওয়াং জেলা। শিক্ষার আলো সেখানে এখনও পৌঁছয়নি বললেই চলে। অথচ সেখানেই সম্প্রতি তৈরি হল একটি লাইব্রেরি। বইপত্র জোগাড় করেছেন ছাত্রছাত্রীরাই। তবে লাইব্রেরি গড়ে তুলতে তো একটা বাড়ি দরকার। সেই বাড়ির মধ্যে বইয়ের তাক, টেবিল-চেয়ার এসবেরও প্রয়োজন। রাজমিস্ত্রী এবং ছুতোরদের পাশাপাশি, হাত লাগিয়েছেন ছাত্ররাও। কেননা, এই লাইব্রেরি তো তাঁদেরই। আর তাই নিজেদের মতো করেই বাড়িটা সাজিয়ে নিয়েছেন তাঁরা।
সম্পূর্ণ কাজটা শেষ হতে সময় লেগেছে মাত্র ৪০ দিন। একটি পরিত্যক্ত সরকারি জায়গাকে ঘিরে গড়ে উঠল গণশিক্ষার নতুন কর্মকাণ্ড। সামান্য কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর এই উদ্যোগে অবাক হয়েছেন অনেকেই। অরুনাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুও তাঁদের উদ্যোগের প্রশংসা না করে পারেননি। সামাজিক মাধ্যমে তিনি এই উদ্যোগকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। আর সামান্য অক্ষরপরিচয়কে সম্বল করেই এবার নতুন এক জীবনের কথা ভাবতে শুরু করেছেন তাওয়াং জেলার মানুষ। দুই মলাটের মধ্যে বন্দি কালো অক্ষরের মধ্যেই লুকিয়ে সেই জগত।
Powered by Froala Editor