গত চব্বিশ ঘণ্টায় একাধিক ধ্বংসদৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে পশ্চিমবঙ্গ। সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে সেসব ছবি দেখেওছেন অনেকেই। একটা ঝড় যেন তছনছ করে দিয়ে গেল কয়েকটা জেলাকে। আমফানের এই তাণ্ডবের সঙ্গে মেলে না স্মরণাতীতকালের কোনো ঝড়ই। এমনকি আয়লাও নয়। ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। সংখ্যাটা বাড়বে নির্ঘাত। চারদিকে হাহাকার আর ধ্বংস। কলকাতা তো বটেই, দুই চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরকেও যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে আমফান। যত্রতত্র পড়ে আছে গাছ, থুবড়ে পড়েছে ল্যাম্পপোস্ট, এমনকি কাঁচা বাড়িও। এসবের মধ্যেই, কলেজ স্ট্রিটের কিছু দৃশ্য যেন হাহাকারে সামনে দাঁড় করিয়ে দিল সবাইকে।
দুপুর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় এইসব ছবি। থইথই জলে ভাসছে গোটা কলেজ স্ট্রিট। ইতিউতি পড়ে আছে গাছের ভাঙা ডাল। আর তার মধ্যেই, বঙ্গিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে, রাস্তায় ভেসে বেড়াচ্ছে বই। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। পথের দু-পাশে যে অসংখ্য ছোটো-ছোটো বইয়ের দোকান, আমফান শূন্য করেছে সেগুলির বেশ কয়েকটিকে। অজস্র বই ভেসে বেড়াচ্ছে জলে।
ক্ষতির পরিমাণ কত, তা অবশ্য জানার উপায় নেই। তবে কয়েক লক্ষ টাকার বই যে খোয়ালেন দোকানিরা, তাতে সন্দেহ নেই। একেই লকডাউনের কারণে প্রায় ২ মাস বন্ধ সব দোকান। ব্যবসা নেই বললেই চলে। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন অনেকেই। তার ওপরে আমফানের দাপট কার্যত নিঃস্ব করে দিল অনেককে।
এহ বাহ্য। ঝড়ের দাপটে যেসব ছোটো-ছোটো দোকানের বই রাস্তায় লুটোচ্ছে, সেই ছবিই দেখা গেছে মাত্র। এর বাইরেও কত বই যে দোকানে থেকেই নষ্ট হয়েছে, তা আন্দাজ করার ক্ষমতা নেই আমাদের। আন্দাজ করতে চাইও না আমরা। শুধু, অজস্র ধ্বংসদৃশ্যের মধ্যে থেকে, প্রযুক্তির প্রবল বাধা সত্ত্বেও এই ক'টি তুলে ধরলাম আপনাদের কাছে।
ছবি ঋণ - ফেসবুক