উবের, জোমাটো, স্যুইগি, ট্রিপ অ্যাডভাইসারের পর এবার কর্মীছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিল আরও এক বহুজাতিক সংস্থা। কাজ হারাতে চলেছেন কোকাকোলার ২২০০ কর্মী। যার মধ্যে রয়েছেন শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেরই ১২০০ জন। লকডাউনে ব্যবসায় বড়ো-সড়ো ধাক্কা সামলাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম সফট-ড্রিঙ্কস প্রস্তুতকারক সংস্থা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার এই সংস্থার বিশ্বব্যাপী কর্মীসংখ্যা বর্তমানে ৮৬ হাজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোকাকোলার কর্মীসংখ্যা ১০৪০০ জন। বিশ্বব্যাপী মোট কর্মীসংখ্যার ২.৫ শতাংশ কর্মীছাঁটাই করা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানায় কোকাকোলা।
প্রেক্ষাগৃহ, থিয়েটার, স্টেডিয়াম ইত্যাদি জায়গাই বিক্রি হত কোকাকোলার প্রক্রিয়াজাত পানীয়ের বড়ো অংশ। কিন্তু লকডাউনে সিনেমা, থিয়েটার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা ক্রীড়ামহলই। ফলে বিক্রি কমার পাশাপাশি জলে গিয়েছিল বিনিয়োগও। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ধাক্কাটার পরিমাণ ছিল বার্ষিক আয়ের ৯ শতাংশ। আর সেকারণেই বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ নিল কোকাকোলা।
তবে শুধু কর্মীসংখ্যাই কমছে না, বলা যেতে পারে সম্পূর্ণ বৃহত্তর পুনর্গঠনের পথেই হাঁটছে সংস্থাটি। এক ধাক্কায় কমানো হচ্ছে অর্ধেক ব্র্যান্ড। যার সংখ্যা প্রায় ২০০টি। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ট্যাব, জিকো, ডায়েট কোক ফিস্টি চেরি, ওডওয়ালার মতো সফট-ড্রিঙ্কের উৎপাদন। অন্যদিকে সংস্থাটি আধিকারিক বিভাগের সংখ্যাও ১৭ থেকে কমিয়ে করা হচ্ছে ৯।
তবে একাধিক ব্র্যান্ড বন্ধের পাশাপাশি টোপো চিকো, কোকাকোলা এনার্জি, আহা স্পার্কলিং ওয়াটার, হার্ড শেলজার ইত্যাদি বেশ কয়েকটি নতুন ব্র্যান্ড খোলার কথাও ভাবছে কোকাকোলা। সেইসঙ্গে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে মিনিট মেড, সিম্পল জুসের মতো সম্ভাবনাপূর্ণ ব্র্যান্ডগুলিতে।
লকডাউনের আগেই বেশ কিছু পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা ছিল বহুজাতিক সংস্থাটির। মহামারীর পরিস্থিতি সেই পরিবর্তনকেই যেন ত্বরান্বি করল। পুরো রদবদলের জন্য আনুমানিক ৩৫-৫৫ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হবে সংস্থাটির। তবে কর্মীসংখ্যা এবং একাধিক বিভাগ বন্ধের জন্য শুরুতে লাভও হবে ওই একই পরিমাণ, এমনটাই জানিয়েছে কোকাকোলা। তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংস্থার সিইও জেমস কুইন্সি...
আরও পড়ুন
আনলক পর্বেও অব্যাহত কর্মীছাঁটাই, আগস্টে কাজ হারিয়েছেন ৩৩ লক্ষ
Powered by Froala Editor