১৫ আগস্টের মধ্যেই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছিল আইসিএমআর। এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই দেশজুড়ে বিভিন্ন মহলে জন্ম নিয়েছিল জল্পনা এবং বিতর্ক। এসবের মধ্যেই এবার শুরু হতে চলেছে ভারতে তৈরি প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মানবশরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
উল্লেখ্য ভারতের মোট ছ’টি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণা চালাচ্ছে। তার মধ্যে ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কো-ভ্যাকসিন’ এবং জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি ‘জাইকোভ-ডি’ ভ্যাকসিনের প্রস্তুতিতে সফলতা মিলেছিল আগেই। এবার কো-ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দিল ডিসিজিআই অর্থাৎ ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।
ইতিমধ্যেই হায়দ্রাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে শুরু হয়েছে ট্রায়ালের তোড়জোড়। ট্রায়ালে ইচ্ছুক ৩০-৬০ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রয়োগ শুরু হবে দু’দিনের মধ্যেই। আক্রান্তদের দেহ থেকে প্রথমে সংগ্রহ করা হবে রক্তের নমুনা। পাঠানো হবে দিল্লিতে আইসিএমআরেও। দুটি ডোজে যথাক্রমে ৩ ও ৬ মাইক্রোগ্রাম ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হবে। তারপর রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে ১৪ দিন।
শুধুমাত্র হায়দ্রাবাদ নয়। এই ট্রায়ালের অংশ হতে চলেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ১২টি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ। দুটি ধাপে চলবে এই ট্রায়াল। প্রথমে প্রয়োগ করা হবে ৩৭৫ জনের দেহে। তার ফলাফলের ওপরে নির্ভর করে আরও ৮৭৫ জনের দেহে দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন। পরীক্ষায় যে ইতিবাচক ফলাফল মিলবে তাতে আশাবাদী আইসিএমআর।
সারা বিশ্বে এই মুহুর্তে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে একশোটিরও বেশি ভ্যাকসিন। তার মধ্যে হিউম্যান ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে এক ডজনের মতো। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ভারতের নামও। দেশে দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কার্যত সে কারণেই আগস্টের মধ্যেই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে বদ্ধপরিকর আইসিএমআর। তবে এই তাড়াহুড়ো বিপদ ডেকে আনবে না তো? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১০০, বাড়ছে দুশ্চিন্তা