ভারতের গ্রামীণ সরকারি বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে। শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবের পাশাপাশি নজর নেই বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর প্রতিও। ছাত্রছাত্রীদের জন্য যে-কোনো বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সরকারি বিদ্যালয়গুলির তথৈবচ অবস্থা। বিদ্যালয়ে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। পুরনো যারা তারাও একে একে চলে যাচ্ছে বিদ্যালয় ছেড়ে।
সম্প্রতি জানা গেল এক চাঞ্চল্যকর খবর। খাতা পেনসিল নয়, ঝাড়খন্ডের মুরেঠাকুরা গ্রামের সরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায়শই ছাতা খুলে ক্লাসে বসতে হয়। ফলে বেশিরভাগ দিনই নানা অসুবিধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বাইরে প্রবল বৃষ্টি হলেই ছেলেমেয়েদের ছাতা নিয়ে ক্লাসে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ছাতা খোলার অনুমতি দিলেও ছাদ সারাইয়ে মন দেননি। স্কুলের শিক্ষক রতিকান্ত প্রধান জানিয়েছেন, বিপদ এড়াতে তাঁরা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখেন। সরকারকে এ-বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
স্কুলটিতে মোটে সাতটি ক্লাসরুম রয়েছে, যার মধ্যে তিনটির অবস্থা সঙ্গীন। রতিকান্তবাবু-র কথায়, বিদ্যালয়ের ১৭০ জন ছাত্রছাত্রী সরকারের দফতরে নতুন বিল্ডিংয়ে তাদের স্থান পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
ভেঙে পড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনোই বাচ্চার ভিত, আত্মবিশ্বাস গড়ে দিতে পারে না। ভাঙা ছাদের সঙ্গে সঙ্গে কত সন্তানের স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে, তা খেয়াল করছে না কেউ। তাই বাবা-মায়েরাই বা কেন তাঁদের সন্তানকে এইসব স্কুলে পাঠাবেন, এসব প্রশ্ন নিয়ে সত্যিই ভাবার সময় এসেছে।