কথায় বলে, একজনের আস্তাকুঁড়ে অন্যজনের ধনসম্পদ। এই পৃথিবীতে আসলে খুব কম জিনিসই ফেলা যায়, অথচ আমরা বেশিরভাগ দ্রব্যই একবার ব্যবহার করার পর ফেলে দিই৷ কিন্তু সেই ফেলে দেওয়া জঞ্জালকেই পুনর্ব্যবহার করে চমৎকার এক সৃজনশীল শিল্পের নিদর্শন রাখলেন চেন্নাইয়ের এক দম্পতি।
উনত্রিশ বছর বয়সী বিদ্যা ভাট এবং তার স্বামী সুশ্রুত কেএস ফেলে দেওয়া কাচের বোতল ব্যবহার করে শিল্পচর্চার নতুন দিক দেখাচ্ছেন। গত দু-বছর ধরে তাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের এই কাজ ভীষণ আধুনিক এবং সৃজনশীল।
বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সত্ত্বেও শিল্পের প্রতি বিদ্যার ভালোবাসা ও আবেগ এতটুকুও কমেনি। তাঁর কথায়, ছোট থেকেই তিনি নৈপুণ্য ও শিল্পের প্রতি অনুরাগী। পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর শিল্পের সৃজনশীলতার কদর বাড়লে তিনি সম্পূর্ণভাবে এদিকে মনোযোগ দেন।
তাঁদের এই উদ্যোগের নাম 'ছিতারা', কন্নড় ভাষায় যার অর্থ শিল্প এবং নকশা। পড়ে থাকা আমুল কুলের বোতলের ওপর বানানো নকশা দেখে মুগ্ধ হতে হয়। ২০১৭ সালে একটি প্রদর্শনীতে তাঁর এই শিল্পের নিদর্শন দারুণ প্রশংসিত হয়।
সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করে এই দম্পতি বিভিন্ন ফেলে দেওয়া বোতলের ওপর এই ধরণের কারুকার্য করেন। এই কাজে শুশ্রুত যথেষ্ট সাহায্য করেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যা। গত দু-বছরে বিদ্যা সাড়ে তিনশোটি বোতলকে নাইট ল্যাম্পে পরিণত করেছেন। আলোহীন বোতলের দাম তিনশো টাকা থেকে শুরু। অপেক্ষাকৃত বড়ো এবং লন্ঠনের মত দেখতে বোতলগুলির হাজার টাকার কাছাকাছি দাম।
তাঁরা জানিয়েছেন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং তাঁদের এই ব্যবসায় খুব সাহায্য করেছে। বহু মানুষ ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং কারুকার্যময় বোতলগুলি কিনে নিয়ে গেছেন।
ছবি ঋণ - artschittaara