পেশায় ‘পেট ডিটেকটিভ’, হারানো পোষ্য খুঁজে আনেন এই ব্যক্তি

শার্লক, আগাথা ক্রিস্টিই হোক, বা ব্যোমকেশ, ফেলুদা— যুগে যুগে গোয়েন্দারা ‘মগজাস্ত্রের’ সাহায্যে দোষীদের ধরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারা সবাই মানুষ ছিল। পশুদের ডিটেকটিভের কথা কখনও শুনেছেন? চিনের সান জিনরোং সেইরকমই একজন ‘পেট ডিটেকটিভ’। কোনো পোষ্য হারিয়ে গেলে তিনিই হয়ে ওঠেন রক্ষাকর্তা।

এ যেন জিম ক্যারি’র ‘এস ভেঞ্চার’ সিনেমার মতো ব্যাপার। তবে সান জিনরোং সিনেমার কাল্পনিক চরিত্র নন। নয় নয় করে সাত বছর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। আর এই সাত বছরেই ১,০০০টিরও বেশি নিখোঁজ পশুকে তাঁদের মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। টর্চ, লাঠি ছাড়াও যাবতীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। এটাই তাঁর পেশা, এখন অবশ্য পেশার সঙ্গে নেশাও হয়ে গেছে। অবশ্য আজকের মতো এত পোষ্যও ছিল না চিনে। মাও জে-দংয়ের সময় সেখানে কুকুর পোষা নিষেধ ছিল। আজ অবশ্য সেরকম পরিস্থিতি নেই। আর তাই কাজ বেড়েছে সান জিনরোং-এর। ছদ্মবেশ ধরেই হোক, বা অন্য যে-কোনো উপায়— ঠিক হারিয়ে যাওয়া পশুদের খুঁজে তাঁর আস্তানায় পৌঁছে দেন তিনি। এতেই খুশি সবাই।

অনেকেই তাঁদের পোষ্যকে বাড়ির একজন হিসেবেই মনে করেন। তাই সেই পোষ্য যখন হারিয়ে যায়, তাঁর একটা দুশ্চিন্তা তো হয়ই। এরা যাতে ঠিকভাবে যত্ন পায়, খাবার পায়, সেই চেষ্টাই করেন তাঁরা। সান জিনরোংয়ের মতো মানুষরা তাই এদের পাশে এসে দাঁড়ান। কাজটি অভিনব হলেও, অনেকের কাছে এটাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সানের মতো মানুষদের সংখ্যা বাড়ুক, বাড়ুক পশুপ্রেমের উদাহরণ— এটাই চান সবাই।