ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েই আছে। তবে চিনের দিক থেকে সমস্তরকম হানার উত্তর দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা, তা জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রের প্রধানরা। তবে সামরিক আক্রমণের পাশাপাশি বড়োসড়ো সাইবার হানার পরিকল্পনা করছে চিন। জানাল ইন্টারপোল এবং ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স সংস্থাগুলি।
ইতিমধ্যেই এই সাইবার হানার সম্মুখীন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আজ ২১ জুন এমনই একটি সাইবার হানার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের ওপর। এছাড়াও তাদের পাখির চোখ আমেরিকা, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া। এর পিছনে যে চিনের প্রশাসনের মদত রয়েছে তাও জানিয়ে দেন ইনটেলিজেন্সের আধিকারিকরা। এই পরিকল্পনায় যুক্ত রয়েছে উত্তর কোরিয়াও। গত ৯-১০ দিন আগেই চিনের দুই হ্যাকার সংস্থা ম্যানডারিন এবং ক্যানটোনিস প্রস্তুতি শুরু করা এই হামলার। তাদের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে কাজ করছে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিভাগ ল্যাজারাস গ্রুপ। সাইবার সিকিওরিটি ফার্ম ‘সাইফার্মা’ সম্প্রতি ডার্ক ওয়েবে বেশ কিছু সাংকেতিক কথোপকথনের পাঠোদ্ধার করে। সেখান থেকেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সাইবার হানার জন্য প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের এই টালমাটাল পরিস্থিতিকেই বেছে নিয়েছেন হ্যাকাররা। সন্দেহজনকভাবে ধরা পড়েছে ভারত সরকারের নামে তৈরি করা একটি ভুয়ো ই-মেল আইডিও। ncov2019.gov.in নামে তৈরি হয়েছে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট-ও। পাশাপাশি সরকারের নামে অন্য কোনো ভুয়ো ওয়েবসাইট-ও থাকতে পারে বলেই আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই ধরণের কোনো ওয়েবসাইটের লিঙ্ক বা ইমেল আইডি থেকে কোনো মেল এলে তা না খুলতে। অপরিচিত কোনো ব্যক্তির থেকে আসা মেসেজের মাধ্যমেও আঘাত হানতে পারে হ্যাকাররা। লিঙ্কে ক্লিক করলে বা ইমেল খুলে অ্যাটাচমেন্ট ডাউনলোড করলেই চুরি যেতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
প্রাথমিকভাবে তাঁদের টার্গেট প্রায় ২০ লক্ষ ভারতীয়। সাধারণ মানুষ ছাড়াও তাঁদের লক্ষ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, সংবাদ মাধ্যম, টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা, টেলিকম এবং বড়ো ব্যবসাগুলি। এছাড়াও রয়েছে ভারত সরকারের ওয়েবসাইট এবং সরকারি তথ্য চুরি করার-ও পরিকল্পনা। সরাসরি যুদ্ধের বদলে সাইবার-শক্তিকেই ব্যবহার করতে চলেছে চিন, উঠে এসেছে সেই তথ্যই।
উল্লেখ্য, গত বছর ভারতে একটি সাইবার হামলায় বহু তথ্য চুরি গিয়েছিল এটিএমগুলি থেকে। তার পিছনেও ছিল এই দলের হাত। ২০১৭ সালে ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সাইবার হানায় চুরি গিয়েছিল বড়ো অঙ্কের অর্থ। এবার সেই ঘটনার আরো বড়ো আকারের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে বলেই জানাচ্ছে সাইবার সিকিওরিটি সংস্থা। হ্যাকারদের প্রতিহত করতে দিন-রাত এক করে মাঠে নেমেছেন সিকিওরিটি প্রোগ্রামাররা। সেইসঙ্গেই সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
গালওয়ান ভারতেরই অধিকারে, চিনের দাবি কল্পনাপ্রসূত, কড়াভাবে জানালেন বিদেশমন্ত্রী