মহাকাশে যান পাঠানোয় প্রথম বিশ্বের দেশগুলির থেকে পিছিয়ে নেই চিনও। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে চাঙ্গে-৪ মহাকাশযানটি চাঁদে পা রাখার পরেই মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস গড়ে চিন। তবে যানটিকে চাঁদে পাঠানোর আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল সে-দেশের। লুনার মাইক্রো ইকোসিস্টেমের মধ্যে রাখা হয়েছিল ছয় রকমের চারাগাছের বীজ। আদৌ চন্দ্রপৃষ্ঠে সবুজ উদ্ভিদের প্রাণ স্থাপন করা সম্ভব কিনা, তা দেখতেই এমন পরীক্ষা করা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই যানটিতে নিয়ে যাওয়া পাঁচটি বীজ দ্রুত মারা যায়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, থ্রিডি পুনর্গঠন চিত্রের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন, বেঁচে যাওয়া কার্পাস বীজ থেকে জন্ম নিয়েছে একটি চারাগাছ। এমনকি জন্মের পর চারাগাছটিতে ধরেছিল দুটো পাতাও। যা দেখে রীতিমতো হতবাক চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। পরে অবশ্য দু সপ্তাহ পর প্রবল ঠান্ডায় সেই চারাগাছটিও মারা যায়।
চাঁদের মাটিতে মানুষের বসবাস সম্ভব কিনা, নিশ্চিত নয় কেউই। কিন্তু প্রাণ স্থাপনের এই প্রচেষ্টা জারি থাকবে ভবিষ্যতেও। সবুজ প্রাণকে চাঁদের মাটিতে স্থাপন করার সম্ভাবনাকে তাই উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই।