‘মানুষ থেকেই মানুষ আসে, বিরুদ্ধতার ভিড় বাড়ায়।’ যে কোনো লড়াই সফল করতে মানুষের পাশে এসে বরাবর দাঁড়িয়েছে মানুষ। শত হুংকার, শত চিৎকারের পর পিছু হটেছে বিরোধীপক্ষ, ইতিহাস তেমনই বলে। কোনো লড়াই সহজ না, কিন্তু লড়াই জেতার পর লেখা হয় নতুন ইতিহাস। জনগণের তিন সপ্তাহের লড়াইয়ের কাছে অবশেষে হার মানল চিলির সরকার। চিলিতে নতুন সংবিধানের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হলেন সে-দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা।
চিলির একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল এই প্রতিবাদ। কিন্তু সে লড়াই ক্রমশ বড় আকার ধারণ করেছে দেশের অনান্য সমস্যাকে তুলে ধরে। সাবওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি, দেশের অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে এ লড়াই এক বিশাল আকার ধারণা করে। তবে চুপ করে থাকেনি চিলি সরকারও। ইতিমধ্যে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মিলিটারির গুলিতে মারা গেছেন ১৯ জন মানুষ। ১৯শে অক্টোবর শুরু হওয়া এই প্রতিবাদে সামিল হতে গিয়ে আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ।
তবে লড়াই থেমে থাকেনি, বরং আরও জোরদার হয়েছে জনগণের বক্তব্য। রাস্তায় নেমেছে লাখো মানুষ। মূল দাবি, রাষ্ট্রের সংবিধান নতুন করে লিখুক সরকার। প্রতিবাদের কাছে অবশেষে হার মানে সরকার। ঘোষণা করা হয়, চিলির নতুন সংবিধান লেখা হবে শীঘ্রই। ব্যারিকেড, জলকামানও দমিয়ে রাখতে পারেনি মানুষের জেদকে। শেষমেশ মানুষের কাছে কার্যত হার মানল চিলির সরকার।