মার্চ-এপ্রিল নাগাদই আমেরিকায় ঘুম কেড়ে নিয়েছিল অজানা এক জ্বর। আক্রান্ত হচ্ছিল বিশেষ করে শিশুরাই। নেগেটিভ আসছিল করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট। অবশ্য পরে খানিকটা হলেও চিকিৎসকদের কাছে পরিষ্কার হয়েছিল এই ঘটনা। ষাটের দশকে জাপানে ছড়িয়েছিল একটি শিশুরোগ, কাওয়াসাকি। অজানা এই জ্বরের উপসর্গ অনেকটা সেই কাওয়াসাকির মতোই। এবার ইউরোপ, আমেরিকা পরে অজানা এই রোগে আক্রান্ত হল রাজ্যের বেশ কিছু শিশু। করোনা আবহে যা চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তরের।
গত এক সপ্তাহে রাজ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১০ জনের মত শিশু। কেবলমাত্র দুই মেদিনীপুর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫। এছাড়াও হাওড়া এবং হুগলিতেও মিলেছে আক্রান্ত। আগে যে এই রোগ দেখা যায়নি এমনটা নয়। তবে সারাবছরে বাংলায় আক্রান্ত হত বড়োজোর ১-২ জন শিশু। হঠাৎ সেই সংখ্যার মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিতে চিন্তিত চিকিৎসামহল।
করোনার উপসর্গের সঙ্গে মিল থাকলেও কাওয়াসাকি রোগে ফুলে যায় দেহের শিরা-উপশিরা। লাল হয়ে যায় ঠোঁট ও জিভ। সারা গায়ে র্যা শও বেরোতে দেখা যায়। তবে রাজ্য আক্রান্তদের শরীরে দেখা দিয়েছে আরও বেশ কিছু উপসর্গ। সংযোজিত হয়েছে পেট ব্যথা এবং পেট খারাপের মত লক্ষণ। আক্রান্ত হচ্ছে ২ থেকে ১৪ বছরের শিশুরাই।
নতুন এই রোগের প্রাদুর্ভাবে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। গবেষণা চলছে করোনার সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা, সেই ব্যাপারেও। বিষয়টির পর্যালোচনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা সহ বিশ্বের তাবড় গবেষকরাও। সাধারণ ফ্লুয়ের ওষুধে এই রোগের নিরাময় সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে সঠিক চিকিৎসা হলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠছে রোগী। যা এই সংকটেও ভরসা দিচ্ছে চিকিৎসকদের...
Powered by Froala Editor