শিশুর জন্ম হবে মাতৃগর্ভ ছাড়াই, একুশ শতকের নয়া বিস্ময়

মাতৃগর্ভ ছাড়াই জন্মাবে শিশু। কৃত্রিম জরায়ুর মাধ্যমে বিকশিত হবে ভ্রূণ। প্রযুক্তির দৌলতে এই শতাব্দী শেষের আগেই হয়ত এমন সম্ভব হবে।

বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ‘এক্টোজেনেসিস’। বিখ্যাত জীববিজ্ঞানী জে. বি. এস হ্যালডেন এই শব্দের রচয়িতা। হ্যালডেন অনুমান করেছিলেন, ২০৭৪ সালের মধ্যে প্রায় ৭০% মানবশিশুর জন্ম এভাবেই হবে।

ব্রিটিশ-ভারতীয় এই বিজ্ঞানীর অনুমান কতটা সফল হবে তা হয়ত সময়ই বলবে, কিন্তু এক্টোজেনেসিসের পথে কতটা এগিয়েছে প্রযুক্তি? ১৯৯০ সালে জাপানি বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম অ্যামনিয়টিক তরলে একটি ছাগলের ভ্রূণকে অনেকদিন জীবিত রাখতে সক্ষম হন। গত কয়েক দশকে নবজাতকের পরিচর্চা ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বাইশ সপ্তাহের আগে মাতৃগর্ভ থেকে ভ্রূণ স্থানান্তরিত হলে তাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

প্রযুক্তি বিদ্যার যথেষ্ট উন্নতি হলেও মানব শরীরে এক্টোজেনেসিস করা এখনই সম্ভব হবে না। তবে বায়ো টেকনোলজির দ্রুত উন্নতির ফলে, স্ত্রী-দেহ ছাড়াও কেবল নিষিক্ত ডিম্বাণু দিয়েই কৃত্রিম জরায়ুতে ভ্রূণের বিকাশ করানো যেতে পারে। এর ফলে একদিকে যেমন প্রিম্যাচিওর বার্থ রেট কমবে, তেমনই কেবল ডিম্বাণুর সাহায্যেই সমকামী পুরুষদের সন্তান লাভের স্বপ্নও পূরণ হবে। সারোগেসির সাহায্য নিতে অনিচ্ছুক অনেক দম্পতিই সন্তান লাভ করতে পারেন এই পদ্ধতিতে।

হ্যালডেনের অনুমান হয়ত কোনো-না-কোনো দিন সত্যি হবে, সেদিন সমাজের বৃহত্তর জনসংখ্যা মাতৃগর্ভ  ছাড়াই জন্মাবে। ভাবতে অবাক লাগে না?

Latest News See More