সংসদে পাশ হওয়া তিনটি কৃষি-আইনের বিরোধিতা করে কৃষকরা রাস্তায় নেমেছিলেন সেপ্টেম্বর মাসেই। আর তারপর দিল্লি সীমান্তে শুরু হয়েছে বিরাট অবস্থান বিক্ষোভ। কিন্তু এতদিনেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। নিজের নিজের অবস্থানে অনড় প্রতিবাদী কৃষকরা এবং কেন্দ্র সরকারও। এবার সেই জটিলতার মধ্যেই হস্তক্ষেপ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সরকার যদি কৃষি-আইনে স্থগিতাদেশ না আনে তাহলে আদালতকেই সেই কাজ করতে হবে।
তিনটি কৃষি-আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষকদের একাংশ। এই মামলায় কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছে, কৃষকদের সঙ্গে ইতিবাচক সমঝোতার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন কিছুই দেখা যায়নি। গত শুনানিতেও এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সরকার। তবে এবার আর সময় দিতে রাজি নন চিফ জাস্টিস এসএ বোবদে। সোমবার কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল আবারও সময় চাইলে তাঁকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, কৃষকদের অসন্তোষ হিংসাত্মক দিকে যাওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
অন্যদিকে কৃষকদের কাছেও আন্দোলন পুনর্বিবেচনার আর্জি রাখেন প্রধান বিচারপতি। অবশ্য তিনি রায়ে জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত আইনে স্থগিতাদেশ আনা হলেও সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা আন্দোলন করতেই পারেন। সেই অধিকার সংবিধান তাঁদের দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে কি কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত জটিলতার জট খুলবে? আপাতত সেটাই দেখার বিষয়।
Powered by Froala Editor