খাদ্যের অভাবে ধুঁকছে চেন্নাইয়ের ১১৭টি ঘোড়া, সাহায্যে এগিয়ে এলেন নাগরিকরা

চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচ। এই সমুদ্রসৈকতে অনেকেই ঘোড়ার পিঠে চড়ে উপকূলে ঘুরতে পছন্দ করেন। তাই সাধারণ দিনে সব থেকে বেশি কদর থাকে তাদেরই। তাতে সামান্য যা আয় হয়, মালিকের এবং তাদের অন্নসংস্থান হয়ে যায়। কিন্তু লকডাউনে ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক শৃঙ্খল। উপার্জন হারানো এই মানুষগুলোর নাওয়া-খাওয়াই এখন অনিশ্চিত। অসহায় হয়ে মালিকরা খাবার জোগাতে পারছেন না ঘোড়াগুলিকেও। তাদের দিকেই এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ‘পিপল ফর অ্যানিম্যালস’- সংস্থা্র এক আধিকারিক।

একে তো লকডাউনে খাবার নেই। তার ওপর মারাত্মক গরম। অভুক্ত অবস্থায় অবলা প্রাণীগুলির শারীরিক অবস্থা সত্যিই সংকটজনক হয়ে উঠেছিল। ঘোড়াগুলির দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে এগিয়ে এলেন অ্যানিমাল রাইট অ্যাক্টিভিস্ট সিরান পেরেইরা। তিনিই ‘পিপল ফর অ্যানিমালস’ নামক একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত। প্রাণীগুলির জন্যে তৎক্ষণাৎ ৪০ ব্যাগ পশুখাদ্যের জোগাড় করেন তিনি।

তবে পুরো বিষয়টি অতোটাও সহজ ছিল না তাঁর পক্ষেও। একদিকে চেন্নাইয়ে মজুত পশুখাদ্য ফুরিয়েছিল ইতিমধ্যেই। অন্যদিকে বাইরে থেকে খাবার আনার জন্যও পাওয়া যাচ্ছিল না কোনো গাড়ি। শেষমেশ চেন্নাইয়ের পুলিশের সাহায্যে খাবারের গাড়ি পৌঁছে দেওয়া গেল ওই অঞ্চলে।

পেরেইরার এই উদ্যোগের কথা জেনে এগিয়ে এসেছেন মাদ্রাস রেসিং ক্লাবের চেয়ারম্যান এম. মুথিয়া-ও। ঘোড়ার জন্য খাদ্য শস্য কিনতে তিনি ৫ লক্ষ টাকা দান করেন। আপাতত চেন্নাইয়ের ১১৭টি অভুক্ত ঘোড়ার জন্য খাদ্য সংস্থান করেছে ওই অলাভজনক সংস্থা। খাদ্যের ধারাবাহিক সরবরাহ যাতে বজায় থাকে তার দিকেও নজর রাখছেন তাঁরা।

এর মধ্যেই সপ্তাহ দুয়েক আগে জেসি নামের একটি ঘোড়া সন্তান প্রসব করে। জেসি এবং তার সন্তান অ্যালেক্স পরিচর্যা এবং খাবার পেয়ে বেশ সুস্থই রয়েছে এখন। যারপরনাই বেজায় খুশি ঘোড়ার মালিক। আনন্দিত পেরাইরা-ও।