'লাইফ ইন আ সিটি উইদাউট ওয়াটার'- এমনই হেডলাইন ছিল নিউইয়র্ক টাইমসের পাতায়। ২০১৯ সালে দীর্ঘ খরার ফলে চেন্নাই দেখেছিল জলের হাহাকার। একফোঁটা জলের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেরিয়েছে মানুষ। জলের দামে জল পাওয়া যায়নি গোটা শহরে। আবহাওয়ার বিরূপ আচরণের জন্য পরিবেশকেই দুষেছেন অনেকেই। সাইক্লোনে হারিয়েছে ১ লক্ষেরও বেশি গাছ, মানুষের সুবিধার্থে কাটা পড়েছে আরও হাজারো গাছ, হারিয়েছে অধিকাংশ বনাঞ্চল। কিন্তু শহরকে সবুজে মুড়ে ফেলতে এবার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হল এ-শহরে। পামেলা মালহোত্রা ও তাঁর স্বামীর উদ্যোগে ৩০০ একর জমিতে পোঁতা হল চারা গাছ।
এর ফলে, সেই অঞ্চলে ১৭১ সেমি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই দম্পতি। সাধারণ মানুষের এই একাকী লড়াইয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সরকারও। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে গোটা চেন্নাই শহরের ২০.২ শতাংশ সবুজে মুড়ে ফেলা হবে, এমন আশ্বাস জানিয়েছে চেন্নাই কর্পোরেশন। গত বছর থেকে এখনও অবধি মোট এক লক্ষ চারাগাছ লাগানো হয়েছে।
পাশাপাশি, একটি এনজিওর পক্ষ থেকেও চেষ্টা চলছে ‘ট্রি পার্ক’ তৈরির। লক্ষ্য ২০২০, তার মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিভিন্ন পার্কগুলিকে সবুজে রূপান্তরিত করে তুলতে চায় এনজিও-টি।
গাছ যত বেশি লাগানো হবে, বৃষ্টির পরিমাণও পর্যাপ্ত হবে, এই আশায় বহু মানুষ গাছ লাগিয়ে শহরকে সবুজ করে তুলতে চাইছেন নিজেদের স্বার্থেই। কিন্তু এতকিছুর পরও শহরে আদৌ জলকষ্ট কমবে কিনা, সে-প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু মানুষ নন, এখন দরকার সমাজের সর্বস্তরের সব মানুষের এগিয়ে আসার।