তাঁকে জড়িয়ে শুয়ে আছে চিতা, ঘুম থেকে উঠে দেখলেন ফটোগ্রাফার

পশুদের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব চিরন্তনের। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব যদি চিতার সঙ্গে হয়, ভাবতেই যেন গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। চিতার পাশে যাওয়া তো দূরের কথা, দূর থেকে দেখলেই ভয়ে শত হাত পিছিয়ে যায় মানুষ। আর সেই মানুষের কোলেই মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে চিতা, এমন অবাক দৃশ্যই দেখা গেল মাসকয়েক আগে।

নিজের কোলেই প্রিয় কুকুরের মৃত্যুর পর, ডল্ফ ভোল্কার সে শোক আজও ভুলতে পারেননি। পেশায় ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার ও জুলজিস্ট হওয়া সত্ত্বেও বিপন্ন প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে, তাদের অধিকারের পক্ষে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ছুটির দিনে তাই তাঁর সময় কাটাবার ঠিকানা দক্ষিণ আফ্রিকার ‘চিতা এক্সপেরিয়েন্স’।

হিংস্র হলেও বিশ্বের দ্রুততম এই প্রাণীটি স্বভাবে বেশ লাজুক। সহজেই মানুষের সঙ্গে চিতার সখ্য গড়ে তোলার কঠিন কাজটি দীর্ঘকাল ধরে করে এসেছেন ডল্ফ। চিতা এক্সপেরিয়েন্স বিভিন্ন বিপন্ন প্রাণীদের নিশ্চিন্তে বসবাস করার জায়গা। সেখানকার প্রাণীদের সাথে ডল্ফের এই ঘনিষ্ঠতা অনেকদিনের।

রোদে ক্লান্ত হয়ে একটা গাছের তলায় আশ্রয় নিচ্ছিলেন ডল্ফ। আর তারপরেই ঘটে এই অবাক করা দৃশ্য। ইডেন নামের একটি চিতা তাঁকে ঘুমোতে দেখে তাঁর কাছে আসে, গায়ের গন্ধ শুঁকে, তাঁকে আলিঙ্গন করে পাশে শুয়ে পড়ে৷ ঘুম থেকে উঠে ডল্ফের চক্ষু চড়কগাছ। ইডেন এসে তাঁর পাশে শুয়ে পড়বে, এমনটি ভাবতেও পারেননি তিনি।
অথচ আজকের দিনে নির্দ্ধিধায় পশু হত্যা করে মানুষ। ভালোবাসলে যে হিংস্র পশুরাও বশ মানে, তারই জ্বলন্ত প্রমাণ ডল্ফ আর তার প্রিয় পোষ্যের বন্ধুত্বের এই ঘটনা।