শুধুই মানুষ নয়, করোনা ভাইরাসের আক্রমণের শিকার চিড়িয়াখানার পশুরাও। নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানায় একটি বাঘের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। এছাড়াও আরও ৫টি বাঘ ও সিংহের শরীরে সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, কোনো কর্মচারীর শরীর থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
আমেরিকার এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে এদেশের সরকার। ৬ এপ্রিল সমস্ত রাজ্য সরকারের কাছে এসে পৌঁছেছে বিশেষ নির্দেশিকা। সমস্ত চিড়িয়াখানা যাতে পশুদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে প্রতি ১৫ দিন অন্তর তাদের শারীরিক নমুনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে। ন্যাশনাল জু অথরিটির সেক্রেটারি এসপি যাদব জানিয়েছেন, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের চিড়িয়াখানায় ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনোরকম অস্বাভাবিকতা দেখলেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ-রাজ্যে আগে থেকেই সতর্কতার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত অ্যান্টি ভাইরাস দেওয়া হচ্ছে পশুপাখিদের। আর এবার থেকে চিড়িয়াখানার কর্মীরা পিপিই পরিহিত অবস্থাতেই তাদের খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী পরিবহন করবেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে চিড়িয়াখানায় দর্শকদের সমাগমন বন্ধ করা হয়েছে আগেই। এবার অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাসের সামগ্রিক চরিত্র এখনও অজানা। মানুষ ছাড়া ঠিক কোন কোন প্রাণী এই ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হতে পারে, সেই সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা এখনও নেই। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। চিড়িয়াখানার পশুপাখি তো বটেই, যদি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে কোনো সংরক্ষিত বিরল প্রজাতির প্রাণীর শরীরে! তাহলে কি আদৌ বাঁচানো যাবে তাদের? স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পরিবেশ কর্মী থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কপালে।