দেশের ২৭ শতাংশ পড়ুয়াই সুযোগ পাচ্ছে না অনলাইন ক্লাসের : কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

লকডাউনের কারণে বন্ধ স্কুল-কলেজ। তাই পঠনপাঠন চলছে অনলাইনে, অর্থাৎ ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে। এই ব্যবস্থা অনেকের কাছেই তেমন সমস্যাজনক মনে না হতে পারে। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিই আমাদের চিনিয়ে দেয়, কতটা বৈষম্যে ভরা আমাদের এই দেশ। যেখানে অনেকের কাছেই ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ক্লাস করা এককথায় প্রায় অসম্ভব। সম্প্রতি ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটি কর্তৃপক্ষের আয়োজনে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, দেশের ২৭ থেকে ৩০ শতাংশ পড়ুয়ার পক্ষেই অনলাইন ক্লাস করা সম্ভব নয়।

অবশ্য এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এই সমীক্ষা হয়েছে সিবিএসই বোর্ডের এবং কেন্দ্রীয় ও নবোদয় বিদ্যালয়ের ১৮১৮৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এছাড়াও যে বিভিন্ন রাজ্য শিক্ষা পর্ষদের পড়ুয়াদের অবস্থা আরও সঙ্গীন, সেকথা বলাই বাহুল্য। আর তাই এপ্রিল মাস থেকে বিভিন্ন স্কুলে অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়ায় পড়াশোনা ছেড়েছে অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে যেন দরিদ্র পড়ুয়াদের কারোরই পড়াশোনার কোনো অধিকার নেই।

তবে শুধুমাত্র দারিদ্র্যকেই অনলাইন ক্লাসের সামনে একমাত্র বাধা বলে মেনে নিতে রাজি নয় এনসিইআরটির এই সমীক্ষা। অবশ্য বেশিরভাগ পড়ুয়াই প্রয়োজনীয় ডিভাইসের অভাব বা ইন্টারনেট কানেকশনের অভাবকেই দায়ী করেছে, কিন্তু পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করেছে এই সমীক্ষা। প্রথমত প্রান্তিক পড়ুয়াদের অনেকেই ছোটো বয়স থেকে অনলাইন গেজেট ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নয়। শুধু পড়ুয়ারাই নয়, অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাও এই সমস্ত গেজেট ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নন। সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পড়ুয়া অনলাইন ক্লাস উপভোগ করলেও বাকি বড়ো অংশের পড়ুয়ার পক্ষেই সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে কি এই মহামারী তাদের পড়াশোনার স্বপ্ন কেড়ে নেবে? নাকি বিকল্প কোনো উপায় বেছে নেবে স্কুল-কর্তৃপক্ষগুলি? এই প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যতই দেবে।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
অনলাইন ক্লাসের জন্য ৮০০ পড়ুয়াকে স্মার্টফোন দেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

Latest News See More