হলিউডের একটি সিনেমা বোধহয় আমরা অনেকেই দেখেছি। ‘জার্নি টু দ্য সেন্টার অফ দ্য আর্থ’। পৃথিবীর কেন্দ্রে এই মুহূর্তে আমরা যেতে পারব কিনা, জানি না। কিন্তু একটু খরচ করে ইউনিভার্সের ‘কেন্দ্রে’ আমরা যেতেই পারি। এই পৃথিবীতেই আছে ‘সেন্টার অফ দ্য ইউনিভার্স’। আমেরিকার টুলসার এই বিশেষ জায়গাটি ঘিরে জড়িয়ে আছে আরও কিছু চমকপ্রদ ঘটনা।
টুলসার প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই বিশেষ জায়গাটি। মাটিতে পোঁতা ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি কংক্রিটের গোল চিহ্ন। তাকে ঘিরে আরও ইটের সারি। এর বাইরে আর কিছু বিশেষত্ব নেই। ঠিক ওইরকমটা রাস্তায় কত জায়গাতেই না দেখা যায়। কিন্তু ওই কংক্রিটের গোলের ভেতর দাঁড়ালেই আসল ব্যাপারটা বোঝা যাবে।
ভেতরের বৃত্তে দাঁড়িয়ে যদি আপনি চিৎকার করেন, বা কথা বলেন, তবে তার প্রতিধ্বনি কয়েকগুণ বেশি হয়ে আপনার কানে এসে পৌঁছবে। সাধারণ ভাবে এই ঘটনা হয় না। শুধু এখানেই শেষ নয়। সেই সময় ওই বৃত্তের বাইরে কেউ থাকলে, সে ওই প্রতিধ্বনি শুনতে পাবে না! একমাত্র, যে বৃত্তের ভেতরে রয়েছে, সে-ই শুনতে পাবে! এছাড়াও, বাইরে থেকে কেউ কথা বললে, বৃত্তের ভেতর যে রয়েছে, সে অস্পষ্ট শুনতে পাবে সেটা।
১৯৮০ সালে তৈরি হয়েছিল এই ‘সেন্টার অফ ইউনিভার্স’। তারপর থেকে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। কেউ কেউ মনে করেন, এই জায়গাতেই মহাবিশ্বের সমস্ত কসমিক এনার্জি এসে মেশে। কিংবা, প্যারালাল ইউনিভার্সের ঘটনাও থাকতে পারে। কিন্তু এসবের বাইরে, আসল বৈজ্ঞানিক কারণটা কী? এখনও অবধি সঠিক কোনও কারণ বের করা যায়নি। কোনো কোনো বিজ্ঞানী মনে করেন এই জায়গাটির চারপাশে যে দেওয়াল আছে, তার বিশেষ গঠনের জন্যই নাকি এই ঘটনা। বৈজ্ঞানিক কারণের দিকে তো আমরা তাকিয়ে থাকবই, তার আগে পৃথিবীর ভেতরেই ব্রহ্মাণ্ডের এই কেন্দ্রস্থলে একবার ঘুরে আসাই যায়!