প্লাস্টিক কিংবা রাসায়নিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও, কোনোভাবেই রেশ পড়ছে না কার্বন নির্গমনে। বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা (Air Pollution)। ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে হিমালয়ের (Himalaya) পরিবেশ। কাজেই প্রকৃতির রক্ষার স্বার্থে বাইক ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে লাদাখ-ভ্রমণে রেশ টানা আবশ্যিক হয়ে উঠেছে। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনটাই জানালেন গবেষকরা।
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চ জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। মূলত বিগত দু’দশক ধরে স্যাটালাইটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল পশ্চিম হিমালয়ের দ্রাস অববাহিকার হিমাবাহগুলিকে। সেই ছবি বিশ্লেষণ করেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভয়াবহভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে ৭৭টি হিমবাহ। সবমিলিয়ে শুধু লাদাখে হিমবাহের আয়তন কমেছে প্রায় ১৭১.৪৬ বর্গকিমি। যা মোট হিমবাহের এলাকার প্রায় ৩ শতাংশ।
এই ঘটনার জন্য মূলত গবেষকরা দায়ী করছেন যান চলাচলকেই। জলবায়ু বিশেষজ্ঞ শাকিল আহমেদ রমশুর অভিমত, মূলত কালো কার্বনের আধিক্যই বিপর্যস্ত করে তুলেছে হিমালয়ের পরিবেশকে। যা কল-কারখানা থেকে নয়, বরং উৎপাদিত হয় গাড়ির ধোঁয়া থেকেই। সবমিলিয়ে কার্বন নির্গমনের ৬০ শতাংশের পিছনে দায়ী এই যান চলাচলই। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০২ সালে বায়ুতে কার্বনের ঘনত্ব ছিল ২৩৮ মিলিগ্রাম প্রতি ঘনমিটার। যা ২০২২ সালে গিয়ে পৌছেছে ৬৩৪ ন্যানোগ্রামে।
লাদাখ নিয়ে বহু আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছে ভারত ও চিনের মধ্যে। তবে বিপুল পরিমাণ সামরিক যান চলাচল করে দুই দেশের পথেই। তাছাড়াও অত্যাধিক পর্যটনের কারণে ব্যাপক মাত্রায় কার্বন নির্গত হচ্ছে লাদাখের পরিবেশে। এভাবেই চলতে থাকলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে হিমবাহশূন্য হয়ে পড়তে পারে লাদাখ। আর সেই কারণেই পর্যটন শিল্পে রেশ টানতে বলছেন গবেষকরা…
Powered by Froala Editor