বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের পাশাপাশি পোষ্য হাতিদের নিরাপত্তার বিষয়েও এগিয়ে এল ভারতের বনমন্ত্রক। কিছুদিন আগেই কেরালার কুখ্যাত হত্যাকাণ্ডের পর শুরু হয় প্রোজেক্ট এলিফ্যান্ট নামক প্রকল্প। আর সেই প্রকল্পের অধীনেই দেশের সমস্ত পোষ্য হাতিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রত্যেক হাতির ডিএনএ স্যাম্পেল সংগ্রহ করে বিশেষভাবে ম্যাপিং-এর মাধ্যমে তাদের উপর নজর রাখা হবে। প্রত্যেক হাতির জন্য দেওয়া হবে একটি করে আইডেন্টিটি নাম্বার। ঠিক আধারকার্ডে যেমন থাকে।
২০১৮ সালে প্রথম কেরালাতেই শুরু হয়েছিল পোষ্য হাতিদের ম্যাপিং। এখনও অবধি প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে মোটামুটি ২৭০০ হাতি বন্দি অবস্থায় দিন কাটায়। এর মধ্যে আসামে বন্দি হাতির সংখ্যা ১০০০। সারা দেশে সেটাই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া কেরালা এবং তামিলনাড়ুতে ৫০০টি করে হাতি মানুষের হাতে বন্দি। এই সমস্ত হাতিকেই নির্দিষ্ট পরিচয়পত্রের মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রোজেক্ট এলিফ্যান্টের কর্ণধার নোয়াল থমাস।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে হাতিদের সুরক্ষা দেওয়ার কাজ অনেক সহজ হবে বলেই জানিয়েছেন থমাস। চোরাশিকার রুখতেও এই ব্যবস্থা কাজে দেবে। তাছাড়া লাইভ ট্র্যাকিং-এর ব্যবস্থা থাকায় কোনো হাতি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা যাবে। কয়েকমাস আগে কেরালায় খাবারের সঙ্গে বাজি মিশিয়ে হত্যা করা হয় এক অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে। এরপর ছত্তিসগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ নানা রাজ্যেই অনুরূপ ঘটনার খবর আসে। প্রোজেক্ট এলিফ্যান্টের বর্তমান উদ্যোগ যদি হাতিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে, তবে তার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।
Powered by Froala Editor