অনাহারে মৃত্যু অসংখ্য বন্যপ্রাণীর, ধুঁকছে জীবিতরা; মনভাঙা দৃশ্য আফ্রিকার চিড়িয়াখানায়

ঘানা, মালি, নাইজেরিয়ায় ঘেরা আফ্রিকার ছোট্ট দেশ বুরকিনা ফাসো। আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই আফ্রিকান দেশই। বন্যপ্রাণীদের ওপর অমানবিক ব্যবহার অবাক করেছে সারা পৃথিবীকে। ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই বন্ধ হয়েছিল লোকজনের সমাগম। কাজেই বন্ধ হয়েছিল চিড়িয়াখানার উপার্জনও। আর তার জেরেই খাঁচাবন্দি বন্যপ্রাণীদের অভুক্ত রেখে দেওয়া হয়েছে রাজধানী ওয়াগাডৌগৌয়ের বেসরকারি চিড়িয়াখানাগুলিতে।

সম্প্রতি জার্মানির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ওয়াইল্ড লাইফ চ্যারিটি প্রকাশ্যে এনেছে ঘটনাটি। রিপোর্টে উঠে এসেছে ওয়াগাডৌগৌয়ের চিড়িয়াখানার ৯৮ শতাংশ বন্যপ্রাণীই প্রাণ হারিয়েছে এই মহামারীর আবহে। আর চিড়িয়াখানার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। দেখলেই তা গা ঘিন ঘিন করে উঠবে। মোচড় দিয়ে উঠবে অমানবিকতার নিদর্শন দেখে। পরিচর্যার কোনো বালাই তো নেই-ই। তারওপরে কোনো কর্মচারীও নেই চিড়িয়াখানায়। যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে প্রাণীদের পচা-গলা মৃতদেহ।

এখন সেখানে জীবিত রয়েছে সিংহ, বানর, জলহস্তী, এল্ক, হায়না মিলিয়ে মোটে ৪৭টি প্রাণী। অনাহারে জীর্ণ অবস্থা তাদের। যার মধ্যে একটি হায়না, দুটি জলহস্তী, চারটি সিংহ, একটি উটপাখি, কচ্ছপ ও এল্কের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধুঁকতে ধুঁকতেই তারা লড়াই করছে মৃত্যুর সঙ্গে।

সাহায্য চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছিল অলাভজনক সংস্থাগুলি। এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষই। প্রতি সপ্তাহে প্রাণীদের পরিচর্যার জন্যই সেখান থেকে বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৪৮০০০ হাজার টাকার। খাবারের খরচ ছাড়াও ৮ কর্মীর ব্যবস্থাও করেছেন তাঁরা। বুরকিনা ফাসোর এই অমানবিক ঘটনা সামনে এসেছে। তবে বন্যপ্রাণীদের ওপর এমন নির্যাতন চলছে আরও বহু বহু জায়গাতেই। অজান্তেই। প্রাণীদের ওপরে এই অত্যাচারের শেষ ঠিক কোথায় তা আজও অজানা সকলের কাছেই...

Powered by Froala Editor

More From Author See More