প্রয়াত শতায়ু ক্যাপ্টেন টম মুর, ইংল্যান্ড জুড়ে শোকের ছায়া

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ক্যাপ্টেন টম মুরের নাইটহুড প্রাপ্তির খবর শিরোনামে নিয়ে এসেছিল শতায়ু সেনানীকে। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অনেক মানুষ। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন ক্যাপ্টেন মুর। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থা এনএইচএস-এর জন্য ৩৩ মিলিয়ন ইউরো অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। আর এর মধ্যে সেই করোনা ভাইরাসই কেড়ে নিল ক্যাপ্টেনের প্রাণ। মঙ্গলবার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হল তাঁর।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেনানী ক্যাপ্টেন মুর। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একদিন বিদায় নিতেই হল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে। কিন্তু জীবনের যুদ্ধ ছেড়ে দেননি তিনি। অবসরের পর থেকেই নানা রকম সামাজিক কাজে ব্যস্ত রাখতেন নিজেকে। এর মধ্যেই ২০১৮ সালে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হন ক্যাপ্টেন মুর। চিকিৎসকদের চেষ্টায় অবশ্য শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আর সেই থেকেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে নানাভাবে। করোনা পরিস্থিতিতেও তাই চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ক্যাপ্টেন মুর। তবে এর মধ্যেই রবিবার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। নিউমোনিয়ার উপসর্গ তো ছিলই। শরীরে করোনা সংক্রমণের কথাও জানা গেল। বয়স্ক শরীর সেই আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারল না। দুদিন লড়াইয়ের শেষে হার মানতে বাধ্য হলেন চিকিৎসকরা।

গত মার্চ মাসে শতবর্ষ পূর্ণ করেছিলেন ক্যাপ্টেন মুর। আর মে মাস নাগাদ তাঁর নাইটহুড প্রাপ্তির খবর জানা যায়। ততদিনে এনএইচএস-এর জন্য তিনি ১০ মিলিয়ন ইউরো অর্থ সংগ্রহ করে ফেলেছেন। নাইটহুড পাওয়ার পর তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ে। সেইসঙ্গে অর্থসংগ্রহের কাজও আরও বেশি গতি পায়। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে জানানো হয়েছিল, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বরিষ্ঠ নাগরিক ক্যাপ্টেন টম মুর। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমস্ত ইংল্যান্ড জুড়ে। শোকপ্রকাশ করেছেন স্বয়ং মহারাণীও।

Powered by Froala Editor