মনের জোরের চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। শত বাধা-বিপত্তি পেরোতে মানুষের চাবিকাঠি হল মনের জোর আর আত্মবিশ্বাস। আর সেই জোরেই আমেরিকার মহিলা সাঁতারু সারা থমাস পৃথিবীতে এই প্রথম একটানা চারবার ইংলিশ চ্যানেল পার করলেন।
কিন্তু তাঁর এই লড়াই একেবারে সহজ ছিল না। গতবছর নভেম্বর মাসে তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। সেই ক্যানসারকে হার মানিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছটা(লন্ডন) নাগাদ তিনি চ্যানেল পার করেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৭। নানান অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়েও মনের জোর ও সাহসিকতায় তিনি প্রায় ১৩০ মাইল পথ সাঁতার কেটেছেন।
প্রায় চুয়ান্ন ঘন্টা একটানা সাঁতারে তিনি ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্স, আবার ইংল্যান্ড, তারপর ফ্রান্স হয়ে পুনর্বার ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। ইংলিশ চ্যানেলের অপ্রতিরোধ্য স্রোত, লবণাক্ত জলও তাকে এই লড়াই থেকে আটকে রাখতে পারেনি।
তাঁর এই যাত্রাপথের সহকারী জাহাজের ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন যে অনেক সাঁতারু জলে ঘুমোলেও সারা তা করেননি। তিনি সারা-র কঠিন স্নায়ু ও মানসিক স্থিতির প্রশংসা করেছেন।
এ-ধরণের সহনশীল সাঁতারে পুরুষদের থেকে মহিলারা অনেক বেশি এগিয়ে থাকেন বলে ধারণা সুইস ডাক্তার বিট নেশলের। তাঁর মতে, মহিলাদের দেহে ফ্যাটের মাত্রা তুলনায় বেশি থাকে, তাই তারা ঠান্ডা জলে দেহ ভাসিয়ে রাখতে সুবিধা পায়।
এদিন সারা ডোভার বীচে শ্যাম্পেন সহযোগে তার সফলতাকে উদযাপন করেন। নিজের বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ় থাকলে যে সকল রোগ হার মানে, তা আরও একবার দেখিয়ে দিলেন এই আমেরিকান মহিলা। তাঁর এই অদম্য লড়াইকে কুর্নিশ।