পরিবেশবিদদের কাছে এখন অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার অগ্নিকাণ্ড। কোনোভাবেই আয়ত্তে আসছে না দাবানল। প্রাণ গেছে ৩১ জন মানুষের। এবার ৪০ লক্ষ একর বনভূমির ছাই হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে ক্যালিফোর্নিয়া। তবে বিপত্তির এখনও অনেক বাকি। শনিবার তেমনই পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর।
সানফ্রানসিসকোর উত্তরে ওয়াইন প্রদেশ জ্বলছিলই আগুনে। তবে শুক্রবার থেকেই সম্ভাবনা ছিল প্রবল বেগে বায়ুপ্রবাহের। শুক্রবার সেই সম্ভাবনায় কমে এলেও, শনিবারের পরে ঘণ্টায় ৪৮ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে বলেই সতর্ক করল আবহাওয়া দপ্তর। নাপা এবং সোনোমা পাহাড়েও ছড়াতে পারে আগুনের লেলিহান শিখা। যার কারণে ছাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও ২৮ হাজারেরও বেশি ঘর-বাড়ির।
একে জলবায়ুর পরিবর্তন। তার ওপরেই দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড। ক্রমশ শুষ্ক হয়ে উঠেছে আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বায়ুমণ্ডল। শুকনো গাছ-পালায় আগ্নিসংযোগের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে পরিস্থিতি।
সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন আগুনের সঙ্গে লড়াই করছেন প্রায় ১৭ হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী। তা সত্ত্বেও বেশ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই আগুনকে আটকানো। ওই অঞ্চল থেকে ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ২০১৭ সালের পর আবার এত বড় অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্য।
এর মধ্যে আমেরিকায় হানা দিতে চলেছে হ্যারিকেন মেরী। দক্ষিন-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আগত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের আশা ছিল। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে সেই আশাতেও জল ঢেলে দিয়েছে প্রকৃতি। তবুও হ্যারিকেনের প্রভাবে ক্যালিফোর্নিয়ায় সামান্য আদ্রতা ফিরলেও অল্প রেহাই মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিকেই চাতকের মতো তাকিয়ে রয়েছেন দমকলকর্মীরা...
Powered by Froala Editor