শনিবার রাত আটটায় সাগরদ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সেইসময় তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৫-১২০ কিলোমিটার। এরপর বুলবুলের দাপটে ছত্রখান হয়ে পড়ে সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মৌসুনি দ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানায় রীতিমতো তাণ্ডব চালায় এই ঘূর্ণিঝড়। স্থলভাগে ঢোকার পর বেশ খানিক শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছিল সে। গতিবেগ পৌঁছে গেছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিমিতে। গভীর রাতেও তার তাণ্ডব অব্যাহত। সুন্দরবন পেরিয়ে অবশেষে সে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ১০০ কিমি/ঘণ্টার বেশি বেগে ঝড় বয়েছে রাতে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও ঝড়ের দাপট ছিল। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। মৌসুনি, বকখালি এবং ফ্রেজারগঞ্জ ছাড়াও ধবলাহাট, শিবপুরের মতো এলাকায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন। সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবনে বেশ কিছু মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকাজ চলেছে গোটা রাত ধরেই। ১ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছিল আগেই। তিনশোর বেশি ত্রাণশিবিরেও লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
মোট ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা এখনও সম্ভব হয়নি। তবে, বেসরকারি সূত্রে খবর ঝড়ে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা সব মিলিয়ে হাজার ছাড়াতে পারে।