বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক দুরাবস্থার মুখে পড়েছে সমস্ত দেশ। সাধারণ মানুষকে গ্রাস করেছে দারিদ্র্য আর হতাশা। তবে এর মধ্যেই ব্রাজিল সরকারের একটি সিদ্ধান্ত রীতিমতো ব্যতিক্রম। এমনকি এই মহামারী পরিস্থিতিতেও ব্রাজিলের দারিদ্র্যের হার এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য ইতিহাসে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে।
সম্প্রতি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বালসোনারো একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্প অনুসারে দেশের ৬৬ মিলিয়ন নাগরিককে ৬০০ রেয়্যাস অর্থাৎ ১১০ মার্কিন ডলার করে অর্থসাহায্য করেছে সরকার। বলা বাহুল্য, এই অর্থসাহায্য পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা আগের থেকেও বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর যেখানে ব্রাজিলের ৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিলেন, এবছর সেই সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৩.৩ শতাংশে। ঐতিহাসিকভাবে বিগত ৪০ বছরে, অর্থাৎ যতদিন ব্রাজিলের অর্থনীতির লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায়, তার মধ্যে এবছরই দারিদ্র্যসীমা সর্বনিম্ন।
তবে এর পরেও এই প্রকল্পকে ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থসাহায্য দিয়ে কি আদৌ কোনো সমাধান সম্ভব? উপার্জনের রাস্তা তো এখনও প্রশস্ত হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে এই প্রকল্প সাময়িক হলেও দরিদ্র্য মানুষের জন্য চিরকালের একটা স্টাইপেনের বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু নিম্নমুখী জিডিপির পরিস্থিতিতে ব্রাজিলের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই দূরদর্শিতাহীন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি স্থায়ী স্টাইপেন্ডের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অনেক বিনিয়োগকারী ব্রাজিলের সংস্থা থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু দারিদ্র্য থেকে মুক্তির উপযুক্ত উপায় কী, সেসম্পর্কে কি কোনো উপযুক্ত ধারণা দিতে পারছেন সমালোচকরা?বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক দুরাবস্থার মুখে পড়েছে সমস্ত দেশ। সাধারণ মানুষকে গ্রাস করেছে দারিদ্র্য আর হতাশা। তবে এর মধ্যেই ব্রাজিল সরকারের একটি সিদ্ধান্ত রীতিমতো ব্যতিক্রম। এমনকি এই মহামারী পরিস্থিতিতেও ব্রাজিলের দারিদ্র্যের হার এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য ইতিহাসে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে।
সম্প্রতি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বালসোনারো একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্প অনুসারে দেশের ৬৬ মিলিয়ন নাগরিককে ৬০০ রেয়্যাস অর্থাৎ ১১০ মার্কিন ডলার করে অর্থসাহায্য করেছে সরকার। বলা বাহুল্য, এই অর্থসাহায্য পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা আগের থেকেও বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর যেখানে ব্রাজিলের ৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিলেন, এবছর সেই সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৩.৩ শতাংশে। ঐতিহাসিকভাবে বিগত ৪০ বছরে, অর্থাৎ যতদিন ব্রাজিলের অর্থনীতির লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায়, তার মধ্যে এবছরই দারিদ্র্যসীমা সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন
দারিদ্র্য আর অনাহারে জর্জরিত ভেনেজুয়েলা, চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর
তবে এর পরেও এই প্রকল্পকে ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থসাহায্য দিয়ে কি আদৌ কোনো সমাধান সম্ভব? উপার্জনের রাস্তা তো এখনও প্রশস্ত হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে এই প্রকল্প সাময়িক হলেও দরিদ্র্য মানুষের জন্য চিরকালের একটা স্টাইপেনের বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু নিম্নমুখী জিডিপির পরিস্থিতিতে ব্রাজিলের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই দূরদর্শিতাহীন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি স্থায়ী স্টাইপেন্ডের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অনেক বিনিয়োগকারী ব্রাজিলের সংস্থা থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু দারিদ্র্য থেকে মুক্তির উপযুক্ত উপায় কী, সেসম্পর্কে কি কোনো উপযুক্ত ধারণা দিতে পারছেন সমালোচকরা?
আরও পড়ুন
লকডাউনের ফলাফল, ৪০ কোটি মানুষ ছাড়িয়ে গেছেন চরম দারিদ্র্যসীমাও!
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
খাদ্যের অভাবে গবাদি পশুর রক্ত পান করছে মানুষ, দারিদ্র্যের ছবি ভেনেজুয়েলায়