ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর। সোমবার কেন্দ্রীয় জলদপ্তরের তরফে সরকার এবং গুয়াহাটির নদী উপকূলবর্তী মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আসাম গত কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছে ব্রহ্মপুত্র। ইতিমধ্যেই ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। জলস্তর বৃদ্ধির হার এখন প্রতি ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার।
কেন্দ্রীয় জলদপ্তরের আধিকারিক শরৎচন্দ্র কালিতা জানিয়েছেন, গত ১৬ তারিখের পর থেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে বাড়তে থাকে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর। অসমে বন্যায় ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছ’শোর বেশি মানুষ। চাষের জমি নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরাও। ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিপদসীমা পেরিয়ে গেছে জিয়া ভরালি নদীও। যে হারে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে আরও, তারই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বনন্দ সনোয়াল রবিবার রাজ্যের ডেপুটি কমিশনারদের নির্দেশ দেন বিশেষ টিম গঠনে। সেই মতোই উদ্ধারকার্যও শুরু করেছে স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। কোভিড-১৯ এবং ভূমিক্ষয়ের পাশাপাশি বন্যার জন্যেও তৈরি করা হয়েছে পৃথক রিলিফ ফান্ড। বন্যায় বেশ বড় অঙ্কের আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হবে অসম, তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে পরিস্থিতি।
অন্যদিকে অসমের পাশাপাশি মেঘালয়েও ভারী বৃষ্টির জন্য গতকাল বন্যার কবলে গোয়ালপাড়া জেলা। আগিয়া এবং লক্ষ্মীপুর সংযোগকারী ১২ নং জাতীয় সড়ক বর্তমানে জলের তলায়। একের পর এক বিপর্যয়ে দেশজুড়ে শুধুই হাহাকার ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। পরিস্থিতি মোকাবিলার আপ্রাণ চেষ্টা চললেও, মানুষের অসহায়তার ছবি প্রকট হয়ে উঠছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
Powered by Froala Editor