সে অন্ধ। দেখতে পারে না একেবারেই। অসহায় হয়ে বসে থাকে এক কোণে। খিদে পেলে খাবার খুঁজতেও যেতে পারে না। এই দৃশ্যই চোখে পড়ে একজন স্কুল পড়ুয়ার। তারপর থেকে, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার আগে সে তাকে খাওয়াতে নিয়ে যায়। চমকের এখনও বাকি আছে। কারণ, ওই অন্ধ কোনো মানুষ নয়, একটি হরিণ!
আমেরিকার শিকাগোর এই ঘটনা নজর কেড়েছে সবার। আর তার সুবাদেই সামনে এসেছে দশ বছরের এই ছেলেটির কথা। আকস্মিকভাবেই সমস্ত কিছুর শুরু হয়েছিল। যাতায়াতের পথেই এই অন্ধ হরিণটি নজরে আসে তার। এক কোণে বসে থাকত সে, নিজে থেকে খাবারও খুঁজতে পারত না। তাকে নিয়ে যাওয়ারও কেউ ছিল না। সেই ছেলেটিই একসময় দায়িত্ব নেয় নিজে থেকে। প্রতিদিন, স্কুলে যাওয়ার আগে হরিণটিকে পার্কে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায় সে।
এক প্রতিবেশী এই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার পরই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সব জায়গায়। ইলিনয়েস ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাচারাল রিসোর্সের নজরে আসে এটা। তারাই পরে অন্ধ হরিণটির দায়িত্ব নেয়। এখন তাদের কাছেই সুরক্ষিত আছে হরিণটি। নিশ্চিন্ত হয়েছে ছেলেটিও।
মানুষ এবং অন্যান্য জীবদের পারস্পরিক সহাবস্থানের কথা আমরা বইতে পড়ে থাকি। কিন্তু এটা যে শুধু অক্ষরেই সীমাবদ্ধ নেই, সেটাই আবারও প্রমাণ করল শিকাগোর এই বছর দশেকের ছেলেটি। আমরাও যদি আমাদের চারপাশে এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারি, এমন কাজ করতে পারি, তাহলেই তো পৃথিবী সতত সুন্দর হয়ে ওঠে! আমরা কি পারি না সেই চেষ্টা করতে?